সিলেটে গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াতের ৭ কর্মীর রিমান্ড আবেদন

সিলেট

সিলেটে গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াতের সাত কর্মীর রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। প্রত্যেককে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

গতকাল শনিবার বিকেলে তাদের আদালতে পাঠানোর পর অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকের কাছে এ আবেদন জানানো হয়। আগামীকাল সোমবার শুনানির তারিখ রয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার জামায়াতের সমাবেশ আয়োজনকে কেন্দ্র করে সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে সাত কর্মীকে আটক করে পুলিশ। সে সময় নাশকতার শঙ্কায় তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের কথা জানায় পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে গত ফেব্রুয়ারিতে দায়ের হওয়া নাশকতা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে বিকেলের দিকে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সিলেটে বিয়ানীবাজারের আজিজুল ইসলাম (৪৩), বালাগঞ্জ নুরপুরের এস এম রুমেল (২৩), কানাইঘাট বড়দেশের মারুফ আহমদ (১৮), বাগেরহাটের আবু বক্কর সিদ্দিক (৫৮), সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের সাইদুল ইসলাম (৩৮), সুনামগঞ্জের হোসেন আহমদ (৩০) ও বগুড়ার মাহমুদুল আলম (৩৪)।

থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি সিলেটের সুরমা মোড় এলাকায় একটি মিছিল বের হয়। সেখানে নাশকতার চেষ্টা চালানো হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। ওই মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জামিল আহমদ আজ রোববার দুপুরে বলেন, প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। সোমবার রিমান্ডের শুনানির তারিখ রয়েছে।

সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান আলী জানিয়েছেন, ‘সবাই যে আমাদের কর্মী, তেমনটি নয়। সাতজনের মধ্যে আজিজুল ইসলাম নামের একজন রয়েছেন, তিনি আমাদের অ্যাকটিভ (সক্রিয়) কর্মী বলা যায়। অন্যদের মধ্যে কিছু শ্রমিক নেতা রয়েছেন এবং সমর্থকও রয়েছেন। তবে সরাসরি মূল লাইনের অ্যাকটিভ তেমন নন।’

এদিকে গত শনিবার সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়েছিল জামায়াত। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় সমাবেশ পিছিয়ে ২১ জুলাই করার ঘোষণা দিয়েছেন নেতারা। জামায়াতের নেতারা পরবর্তী সমাবেশকে ঘিরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলন ডেকে জানিয়েছেন ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *