সিলেট রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল কালনী এক্সপ্রেসের। তবে অবিশ্বাস্য এক কারণে ট্রেনটি দুই ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে যায়, চালক ঘুমাচ্ছিলেন!
কন্ট্রোল রুম থেকে যাত্রীদের জানানো হয়, চালক সকাল ১০টায় ঘুম থেকে উঠবেন, তারপর ট্রেন ছেড়ে যাবে। এই ঘোষণায় যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং ব্যাপক হট্টগোল শুরু করেন। যাত্রীদের চাপে শেষ পর্যন্ত সকাল সাড়ে ৮টায় ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এর আগে, শনিবার রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার পারাইচক এলাকায় একটি তেলবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আট ঘণ্টা পর রেল চলাচল স্বাভাবিক হলেও শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। এরই মধ্যে চালকের দায়িত্বহীনতার কারণে কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও চরমে ওঠে।
সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের ট্রেন ধরতে ভোর ৪টা থেকেই যাত্রীরা সিলেট স্টেশনে আসতে থাকেন। কিন্তু ট্রেন না ছাড়ায় কয়েকজন যাত্রী কন্ট্রোল রুমে গিয়ে কারণ জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ জানায়, চালক ঘুমাচ্ছেন এবং সকাল ১০টায় ঘুম থেকে উঠলে ট্রেন ছাড়বে। এই কথায় যাত্রীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে হট্টগোল শুরু করেন।
এ ঘটনায় এক যাত্রী আলীম উদ্দিন রানা, ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার করেন। লাইভে দেখা যায়, যাত্রীরা কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং তারা চালকের দেরির কারণ জানতে চাইছেন। এক পর্যায়ে কন্ট্রোল রুমের এক কর্মকর্তা যাত্রীদের গালিগালাজ করে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং প্রাণনাশের হুমকিও দেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে।
কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রী রনজিত সিংহ বলেন, ‘সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের ট্রেন ধরতে আমরা অনেক আগেই চলে এসেছি। কিন্তু যখন ৭টা বেজে গেল, তখন জানতে চাইলাম কেন ট্রেন ছাড়ছে না। তখন বলা হলো, চালক ঘুমে আছেন, ১০টায় উঠবেন! এতে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা বিক্ষোভের পর অবশেষে সকাল সাড়ে ৮টায় ট্রেন ছাড়ে।’
এ বিষয়ে জানতে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
শেয়ার করুন