সিলেটে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরকে বরণ করে নিতে নগরে এক বর্ণিল শোভাযাত্রার আয়োজন করে সিলেটের জেলা প্রশাসন। শোভাযাত্রা শেষে সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় সিলেট সরকারি কিন্ডার গার্টেনের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়টির ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে জুতা পায়ে শহীদ মিনারের সিঁড়িতে দাঁড়াতে দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরকে বরণ করে নিতে সিলেটের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শোভাযাত্রা শেষে শহীদ মিনারের জড়ো হন।
এসময় সিলেটের জিন্দবাজারস্থ সরকারি কিন্ডারগার্টেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসিমা আক্তার চৌধুরী হঠাৎ করেই তার বিদ্যালয়ে বাচ্চাদের নিয়ে শহীদ মিনারের সিঁড়িতে উঠে পড়েন। তবে জুতা পায়ে শহীদ মিনারের সিঁড়িতে উঠা নিষেধ থাকলেও প্রাথমিকে দেশসেরা এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা তা মানেননি। এ সময় তিনিসহ তার বিদ্যালয়ে উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীকে জুতা পায়ে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাখাওয়াত এরশেদ এ ব্যাপারে সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে জানান, তিনি এ ব্যাপারে অবগত নন এবং এখনই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে তিনি প্রস্তুত নন। তবে এমন ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘ঘটনানি আমার নজরে পড়েছে এবং সাথে সাথেই আমরা তাদের সেখান থেকে নামিয়ে দিয়েছি।’
ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর আগেও তিনি বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অনেকবার এই শহীদ মিনারে এসে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। কিন্তু কখনোই এমন ঘটনা ঘটেনি, আজ ব্যাপারটা হয়তো অসাবধানতাবশত হয়ে গেছে। তবে ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ মূলত শহীদ মিনারের মূল বেদীতে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। তাই আজ সেখানে না উঠলেও হতো। কিন্তু কেনো তারা কেনো আজ এখানে উঠলেন সেটা বুঝতে পারলাম না।’
শহীদ মিনারের সিঁড়ি বা বেদি কোনোটাইতেই জুতা পায়ে উঠা ঠিক না উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু শিক্ষক কেনো, সমাজের সকল সচেতন মানুষের এটা মেনে চলা ও এ ব্যাপারে বাচ্চাদের শিক্ষা দেয়া উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।
শেয়ার করুন