সিলেটে টানা জয় পাওয়া যেসব কাউন্সিলর

সিলেট

সিলেটে টানা জয় পেয়ে চমক দেখিয়েছেন ৪ কাউন্সিলর। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এবার নিয়ে পাঁচবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই পাঁচবারই জয়ের মালা পরেছেন চার কাউন্সিলর। এ চার কাউন্সিলরের তিনজন আওয়ামী লীগ ও একজন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা।

টানা পাঁচবারের মতো নির্বাচিত কাউন্সিলরের মধ্যে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত শন্তু সিলেট পৌরসভার শেষ কমিশনারসহ টানা ষষ্ঠবারের মতো ভোটাররা তার ওপর আস্থা রেখেছেন। ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে পৌরসভা থাকাকালীন প্রথম কমিশনার নির্বাচনে প্রার্থী হন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য শান্তনু দত্ত শন্তু। এরপর পৌরসভা থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনে রূপান্তর হলে তিনি ২০০৩, ২০০৮, ২০১৩, ২০১৮ ও ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

২০ নম্বর ওয়ার্ড আজাদুর রহমান আজাদ পরপর পাঁচবার ভোটারদের মন জয় করে কাউন্সিলর পদে জয়ী হন। গত ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে আজাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এবার আজাদুর রহমান লাটিম প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ১৩৯ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হন।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মখলেছুর রহমান কামরানও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর। ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৫টি নির্বাচনে তিনিও টানা জয়লাভ করে চলেছেন।

সিলেট মহানগর বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম দলীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ হাজার ১১৮ ভোট পেয়ে টানা পাঁচবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডে টানা চতুর্থবারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন রেজওয়ান আহমদ। সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আজীবন বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা ১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে হ্যাটট্রিক করেন সৈয়দ তৌফিকুল হাদী এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর আবদুল মুহিত।

এদিকে পরপর দুবার নির্বাচিত হয়েছেন ২১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আবদুর রকিব তুহিন, ২ নম্বর ওয়ার্ডে বিক্রম কর সম্রাট, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে মো. তারেক উদ্দিন তাজ, এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ছয়ফুল আমিন।

২১ জুনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট।

২০০২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত সাড়ে ৭৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ৪২ ওয়ার্ডে এই সিটিতে এবার পঞ্চমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ জন, ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৭২ জন এবং ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *