আবহাওয়ার পরিবর্তনে সিলেটে হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশুরা। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীর চাপ। বাধ্য হয়ে এক বেডে ৪ জন শিশুকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তীব্র শীত ও ঠাণ্ডাজনিত কারণে সিলেটজুড়ে বাড়ছে নিউমোনিয়া, ঠাণ্ডা জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এছাড়াও রয়েছে ব্রংকাইটিসের প্রাদুর্ভাব। এর মধ্যে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। এসব রোগে শিশু ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা কষ্ট পাচ্ছেন বেশি।
চিকিৎসকরা বলছেন, ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে আবহাওয়াজনিত কারণেই বেড়েছে শিশু রোগের প্রকোপ। আতঙ্কিত না হয়ে অভিভাবকদের নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
সিলেটের একটি হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়- বিভিন্ন বয়েসি নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা চলছে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু সুমনকে ‘নেবুলাইজার’ দিচ্ছেন তার মা রত্না বেগম। তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা। রত্না জানালেন, গত পাঁচ দিন থেকে তার তিন বছর বয়সী ছেলে শাকিলকে ভর্তি করেছেন এই হাসপাতালে।
সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে ওসমানী হাসপাতালের ইনডোর-আউটডোর- উভয় বিভাগে রোগীর চাপ বাড়ছে। সাধারণত হাসপাতালটিতে ২ হাজারের মতো রোগী ভর্তি থাকলে তা ২ হাজার ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে। শিশু ওয়ার্ডে এই চাপটা একটু বেশি আছে। সেখানে একটি বেডে ৩ থেকে ৪ জন শিশুকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এই সময়ে এমনিতেই ঠাণ্ডাজনিত রোগীর চাপ থাকে। তবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্তমানে রোগীর চাপ তুলনামূলক বেশি।
শেয়ার করুন