তপ্ত আষাঢ় পুড়াচ্ছে সিলেট। আজ মাসটির ২৯ তারিখ। দু-একদিনের মধ্যে চলে যাবে, কিন্তু রেখে যাচ্ছে অগ্নিশোধিত দিন।
শ্রাবণ সমাগত। ভরা বর্ষা মওসুমের মধ্যভাগে এসেও চৈত্র-বৈশাখের মতো ভ্যাপসা গরমে-ঘামে নেয়ে নাকাল সিলেটের মানুষ। তীব্র খরতাপে দুর্বিষহ জীবনযাত্রা। প্রায় বৃষ্টিবিহীন তপ্ত এ কেমন অচেনা আষাঢ়! আজ (বুধবার) সিলেটে তাপমাত্রার পারদ উঠে গেছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
দিনে কি রাত- সমানতালে গরমের দাপট। অস্বাভাবিক তাপদাহের কারণে সিলেটে ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগব্যাধিতে অসুস্থ মানুষ। হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডাক্তারের চেম্বারে বাড়ছে রোগীর ভিড়।
ভরা বর্ষায় অনাবৃষ্টি। অসময়ে খরা পরিস্থিতি। অথচ আষাঢ় মাসের শুরুর দিকে এমনকি ভরা গ্রীষ্মের জ্যৈষ্ঠ মাসেও আকাশ মেঘলাসহ ঝুম বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিতে শীতল আবহাওয়া বিরাজ করে। সিলেট বিভাগের অনেক স্থানে ওই সময়ে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হয়। কিন্তু গত শনিবার থেকে প্রতি রাতে ছিটেফোঁটা দুয়েক জায়গায় ছাড়া সিলেটে তেমন কোথাও বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। অসহনীয় তাপদাহে কেটেছে ঈদসহ পরবর্তী দিনগুলো । তীব্র গরমে ঘরে-বাইরে কোথাও নেই স্বস্তি। বিশেষ করে রিকশাচালকসহ খোলা আকাশের নিচে শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট হচ্ছে বেশি। এছাড়া তীর্যক সূর্যের দহনে পুড়ছে ফল-ফসল।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ অবস্থা বিরাজমান থাকে আরও দুদিন। আগামী শনিবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। আর ১৬ জুলাই থেকে হতে পারে বৃষ্টি।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী সিলেটভিউ-কে জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে একটি লঘুচাপ। এটি আরও ঘনীভূত হচ্ছে। এর প্রভাবে সিলেটসহ প্রায় সারা দেশে বিরাজ করছে গুমোট আবহাওয়া। লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। পরবর্তীতে এর প্রভাবে এ সপ্তাহের শেষে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি জানান, আজ সিলেটের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দুদিন তাপমাত্রা আরও বাড়বে। তবে আগামী শনিবার থেকে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা আছে। আর আগামী ১৬ জুলাই থেকে নগরীসহ সিলেটের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
শেয়ার করুন