সিলেটে নতুন বইয়ের ঘ্রাণে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

সিলেট

নতুন বছরের প্রথম দিনে নতুন বই হাতে পেয়ে উল্লাসে মেতেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার সারাদেশের মতো সিলেটেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ্যপুস্তক উৎসব উদ্‌যাপিত হচ্ছে। বিদ্যালয় থেকে বই নিয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরছে শিক্ষার্থীরা।তবে কোনো কোনো জায়গায় বই না পেয়ে ফিরতে হয়েছে অনেক শিক্ষার্থীদের।

করোনার মহামারির কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে বছরের প্রথম দিন উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। এবার আর সে প্রতিবন্ধকতা না থাকার কারণে ১ জানুয়ারি সারাদেশে সাড়ম্বরেই উৎসব করে সরকার।

রোববার (১ জানুয়ারি) সকাল সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের নতুন বই বিতরণ করা হয়।

সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বই বিতরণ উৎসব-২০২৩ শুরু হয় সকাল দশটায়। এখানে সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন।

এছাড়াও সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রাজা জিসি উচ্চ বিদ্যালয়, ব্লু-বার্ড হাই স্কুল,দক্ষিণ সুরমার চকেরবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডুংশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিশ্বনাথের জনঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিলাম পিএল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়সহ সিলেটের প্রত্যেকটি স্কুলে বই বিতরণ উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

জানা যায়, আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে উৎসব করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেয় হয়।

গত বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস আদেশে বলা হয়, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যবই বিতরণের জন্য ১ জানুয়ারি ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস- ২০২৩’ উদযাপনের জন্য ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মাধ্যমিকের কেন্দ্রীয় বই উৎসব হবে গাজীপুরের কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিকের বই উৎসব হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে।

অন্যান্য বছরের মতো গত ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় বই উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রতিটি শ্রেণির একজন করে শিক্ষার্থীকে এক সেট করে বই তুলে দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন তিনি।

এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৩৫ কোটি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। এরমধ্যে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি মিলিয়ে এই স্তরে নয় কোটি ৯৮ লাখ ৫৩ হাজার এবং মাধ্যমিক স্তরে স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি মিলিয়ে ২৪ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার কপি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষার বই ছাপা হচ্ছে ২ লাখ ১২ হাজার ১৭৭ কপি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *