সিলেটে নিত্যদিনের সঙ্গী যানজট, বহাল তবিয়তে হকার-অবৈধ স্ট্যান্ড

সিলেট

সিলেট নগরীতে নিত্যদিনের সঙ্গী যানজট।প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত যানজট লেগে থাকে নগরীর প্রায় প্রতিটি সড়কে।সড়কগুলোর গা ঘেষেই দোকান কোঠা।ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের দখলে ফুটপাত। আর সড়কের উপরেই গাড়ির স্ট্যান্ড।মূলত কর্তৃপক্ষ উদাসীনতার সুবাদেই অবৈধ দখলে নগরীর প্রায় সবগুলো সড়ক। এমন বেহাল দশায় বিড়ম্বনায় পড়ছেন সড়ক চলাচলকারী পথচারীরা।

তবে ট্রাফিক বিভাগ বলছে, যানজট নিরসনে তাদের লোকজন প্রতিনিয়ত কাজ করছে।

সিলেট সিটি করপোরেশন ও মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ কয়েক বছর ধরে কয়েকবার স্ট্যান্ড উচ্ছেদের চেষ্টা করলেও কোনো সুফল মিলেনি। উল্টো সকালে উচ্ছেদের পর বিকালেই পুরনো রূপে ফিরেছেন দখলদার চালকরা।তাছাড়া ২০২০ সালের ডিসেম্বরে হকারদের স্থায়ী পুনর্বাসনের জন্য সিসিক ও এসএমপি যৌথভাবে কাজ শুরু করে। প্রাথমিকভাবে লালদীঘি পাড় খালি মাঠে ১২শ হকার পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০২১ সালের শুরুতে ১ হাজার ৭০ জন হকার ওই মাঠে ঘর বরাদ্দ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। এতে প্রাধান্য পান বন্দরবাজার-চৌহাট্টা সড়কের হকাররা। এ প্রকল্পে সিসিকের ব্যয় হয় প্রায় অর্ধকোটি টাকা।তবে সাফল্যের মুখ দেখেনি তাদের প্রকল্প।

সরজমিনে দেখা যায়, সিলেট মহানগরীর প্রতিটি পয়েন্টের অবস্থা একই। নাগরী চত্বর, কামরান চত্বর, কোর্ট পয়েন্ট, বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, জিতু মিয়ার পয়েন্ট, সিলেট জেলা স্টেডিয়াম, আম্বরখানা, ওসমানী মেডিকেল, লামাবাজার, ধোপাধিঘীর পাড়, সোবহানীঘাট, মেন্দিবাগ, উপশহর, টিলাগড় পয়েন্ট, কিনব্রিজের উত্তর ও দক্ষিণ মুখ, কাজির বাজার ব্রিজের উত্তর ও দক্ষিণ মুখ, হুমায়ুন রশিদ চত্বরসহ প্রায় সবক’টি পয়েন্টেই অবৈধ সিএনজি চালিত অটোরিকশা, লেগুনা, মাইক্রোবাস ষ্ট্যান্ড ও হকারদের রাজত্ব চলছে। যত্রতত্র ষ্ট্যান্ড ও হকারদের ভাসমান দোকানকোঠা গড়ে উঠার ফলে পথচারীরা যেমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, তেমনি ঘটছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা।

নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের উদ্যোগে পার্কিং নিষেধ লেখা সাইনবোর্ড যেমন টানানো হয়েছে তেমনি সিলেট সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে টানানো হয়েছে হকারমুক্ত এলাকার সাইনবোর্ড। কিন্তু সেই সাইনবোর্ডের নিচে দেখা যায় বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বসে থাকেন হকাররা।একইভাবে সাইনবোর্ডের পাশেই গড়ে তুলছেন স্ট্যান্ড। এতে যানজট সমস্যা থেকেই গেলো। সচেতন নগরবাসী এনিয়ে হতাশার দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করতে শুরু করেছেন।

তারা মনে করছেন, অবস্থা অনেকটা তীরে এসে তরী ডুবতে বসেছে। হকারদের উচ্ছেদের অভিযান মাঝে মধ্যে দেখা গেলেও অবৈধ ষ্ট্যান্ড উচ্ছেদ হয় না।ফলে যানজট থেকে আর মুক্তি মিলছেনা নগরবাসীর।কথিত আছে, পুলিশ ও সিসিকের কিছু অসাধু ব্যক্তিদের ম্যানেজ করেই হকাররা সড়কে নির্বিঘ্নে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।ফলে খেসারত দিতে হচ্ছে জনসাধারণকে।

এ ব্যাপারে কথা হলে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক ) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব বলেন, যানজট নিরসনে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করছি। শহরে লোকজন বাড়ছে।সেই সাথে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে তাই যানজট লেগে থাকছে।

এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেনি।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *