সিলেটে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট চলছে

সিলেট

সিলেটের সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে সিলেট জেলায় ৪৮ ঘণ্টার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট চলছে। সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে জেলার সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে দুই দিনের এই ধর্মঘট সোমবার (৩১ অক্টোবর) ভোর থেকে শুরু হয়।

সকাল থেকে জেলার কোনও স্থান থেকে ট্রাক, ট্যাংক লরি, কাভার্ডভ্যান, পিকআপসহ পণ্যবাহী যানবাহন ছেড়ে যায়নি বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। ধর্মঘটের ফলে ট্রাক টার্মিনালসহ জেলার বিভিন্নস্থানে আটকা পড়েছে পণ্যবাহী হাজার হাজার ট্রাক।

সকালে নগরীর ট্রাক টার্মিনাল এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে মিছিল করেছেন শ্রমিকরা। সেসময় তারা তাদের দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।

বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এতেও কাজ না হলে পুরো বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পণ্য পরিবহন ধর্মঘট শুরু হবে।

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে সে বৈঠকে বিষয়টির কোনো সমাধান হয়নি।

সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, সিলেটের ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি, জাফলং এবং লোভাছড়া পাথর কোয়ারিগুলো থেকে বছরের পর বছর ধরে সারা দেশের পাথর সরবরাহ করা হয়ে আসছিল। প্রায় ১৫ লাখ ব্যবসায়ী-শ্রমিক ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক এ পাথর বৈধ এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে সিলেটের পরিবহন খাত- বিশেষ করে ট্রাক মালিক ও শ্রমিকরা পড়েছেন চরম সংকটে। ব্যবসায় পড়েছে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব। অধিকাংশ ট্রাক মালিক ব্যাংক ঋণ নিয়ে অথবা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে তাদের গাড়ি কিনেছিলেন। গত ৫ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে ট্রাক মালিকদের পণ্য পরিবহনে ভাটা পড়েছে। এই অবস্থায় শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। ফলে বাধ্য হয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তারা।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে রোববার বিকাল ৪টায় বৈঠকে বসেন সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান। জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের প্রতি ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হলেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন তারা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *