আওয়ামী লীগ-বিএনপি, রাজনীতিতে তাদের অবস্থা দুই মেরুতে। দু’দলের মত পার্থক্য ভিন্ন। তবে, সিলেটে ব্যবসা বাণিজ্যে দুই দলই এক ও অভিন্ন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদল, ছাত্রলীগ যেন ভাই ভাই। নগরীর বড় বড় ব্যবসা বাণিজ্যের দিকে থাকালে এমন চিত্র দেখা যায়।ঠিক তেমনি প্রতি বছরে পশুর হাট বসাতেও এক সাথে কাজ করে আওয়ামী লীগ- বিএনপি।প্রতি বছর কোরবানীর ঈদের আগে পশুর হাট বসাতে দুই দলের নেতাকর্মীরা সমঝোতার ভিত্তিতে ১০-১৫টি অবৈধ পশুর হাট বসান। এবারও পশুর হাট বসিয়েছেন তারা।
এবার সিলেট নগরীতে অনুমোদিত ৬টি পশুর হাট বসবে। সেগুলো হলো- দক্ষিণ সুরমাস্থ কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন খালি জায়গা, চৌকিদেখী পয়েন্ট সংলগ্ন খালি জায়গা, ঝালোপাড়া মসজিদ সংলগ্ন খালি জায়গা, মদিনা মার্কেটস্থ নববী মসজিদ সংলগ্ন খালি জায়গা, নতুন টুকের বাজার, মিরাপাড়াস্থ আব্দুল লতিফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালি জায়গা।সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, এ বছর নগরীর কোথাও হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয় নি। শুধুমাত্র কাজির বাজারে পূর্বের মতই হাট বসানোর অনুমতি রয়েছে।কিন্তু নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানায়, সিলেট নগরীর ১০-১৫টি অবৈধ হাট বসানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আর এসব হাটের নিয়ন্ত্রণে থাকবেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা।
জানা যায়, নগরীতে ক্রীড়া কমপ্লেক্স সংলগ্ন মাছিমপুর কয়েদির মাঠ, শাহী ঈদগাহ খেলার মাঠ, এমসি কলেজ মাঠ, উপশহর সোনারপাড়া, বাগবাড়ি, গ্যাস অফিস, রিকাবীবাজার, সুবিদবাজার, মাছিমপুর সড়কে ও বাবনা পয়েন্ট এলাকায় অবৈধ পশুর হাট বসানোর পরিকল্পনা চলছে। অনেক জায়গায় পশুর হাট বসানো হয়েছে।
গেল ঈদে কোরবানীর পশুর হাটের দায়িত্বে থাকা এক যুবনেতা বলেন, ভাগ-বাটোয়ারা শেষে তেমন একটা টাকা পাওয়া যায় না। তাই এবার আর পশুর হাট বসানোর কাজে নয়। নিজের ব্যক্তিগত কাজে সময় দিচ্ছি। পশুর হাট বসিয়ে সুনামের চেয়ে বদনামই বেশী।সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, নগরীতে অবৈধ পশুর হাট কেউ যাতে বসাতে না পারে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে। অবৈধ হাটের জন্য নগরবাসীর দুর্ভোগ হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি রুখতে জিরো টলারেন্সে রয়েছে। তবে অবৈধ পশুহাট উচ্ছেদের দায়িত্ব পুলিশের না। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ হাট উচ্ছেদ করবে।
শেয়ার করুন