সিলেটে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা

সিলেট

সিলেটে পেঁয়াজের বাজারে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। এক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম একলাফে কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। সোমবার সকালে সিলেট নগরের বাজারগুলোয় ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

রোববার রাত থেকে এমন দামে বিক্রি হচ্ছে। এর আগে গত শনিবার পর্যন্ত ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। এ ছাড়া রসুনের দামও কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।

পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত সরকারের আরও শুল্কারোপের খবরে সিলেটের বাজারে দাম বেড়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন। পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দামের তেমন তারতম্য দেখা যায়নি। রোববার রাতে সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকায় ভ্যানে করে পেঁয়াজ বিক্রি করছিলেন আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী। প্রতি কেজি পেঁয়াজ তিনি ৬৫ টাকা করে চাইছিলেন। ক্রেতারা দামাদামি করে ৬০ টাকা কেজি দরে কিনছিলেন।

আলমগীর হোসেন বলেন, পাইকারি বাজারেও একই দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। তাঁর কাছে আগের পেঁয়াজ থাকায় তিনিও পাইকারি বাজারের সঙ্গে একই দামে বিক্রি করছেন। তবে দু–এক দিন পর দাম আরও বাড়তে পারে।

১৯ আগস্টের পর পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের শুল্কারোপের খবরে সিলেটে পেঁয়াজের বাজারে হঠাৎ অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল। সে সময় ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। তবে চার থেকে পাঁচ দিনের মাথায় আবার আগের দামে ফিরে এসেছিল।

রসামবার সকালে সিলেটের কালীঘাট এলাকার ব্যবসায়ী ফাহাদ মো. হোসেন বলেন, তাঁরা মূলত মুদিদোকানের মালামাল পাইকারি দামে বিক্রি করেন। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী তাঁদের কাছে কোনো পণ্য না থাকলেও অন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে দেন। গতকাল থেকে সিলেটে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। এ জন্য তিনি ক্রেতাদের পেঁয়াজ দিতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, যেখানে দুই দিন আগেও ২০ টাকা কমে পেঁয়াজ দিতে পেরেছিলেন, সেখানে পাইকারি বাজারে এক রাতের ব্যবধানে ২০ টাকা বেশি চাওয়া হচ্ছে।

সকালে সিলেট নগরের মাছুদীঘির পাড় এলাকার ব্যবসায়ী পীযূষ দাশ বলেন, গত শুক্র ও শনিবার পেঁয়াজ ৪৮ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছেন। গতকাল থেকে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। একই এলাকার ব্যবসায়ী রতন রায় বলেন, ভারত সরকারের রপ্তানি শুল্ক বাড়ানোর প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজের বাজারে। আগে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হতো। এখন আমদানি করতে বেশি দাম দিতে হচ্ছে, এ কারণে বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।

বন্দরবাজার এলাকায় পেঁয়াজ কিনছিলেন নগরের কুয়ারপাড় এলাকার বাসিন্দা মো. কবির আলী। তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম প্রায় একই। যদিও বাজারে যে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো নতুন আমদানি করা নয়, আগের পেঁয়াজগুলোই ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে মজুত করেছিলেন; এখন আমদানি শুল্ক বাড়ার অজুহাত দেখিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন।

এদিকে সিলেটের বাজারে রসুনের দামও বেড়েছে। রোববার থেকে চায়না রসুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২১৫ টাকায়। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা কেজিতে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *