সিলেটে বন্যার্তদের জন্য দেয়া ফায়াজ করিমের গরু আত্মসাৎ

সিলেট

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের বন্যার্ত মানুষের মধ্যে কোরবানী দিয়ে মাংস বিতরণের জন্য দানকৃত ৩৬টি গরু আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ইমাদের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগের ঘটনায় এখন তোলপাড় সিলেটে। শনিবার (১৬ জুলাই) স্থানীয় রনিখাই মসজিদ প্রাঙ্গণে এলাকাবাসীর এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় গরু আত্মসাতের ঘটনায় স্থানীয়রা অভিযোগ করেন উপজেলার দক্ষিণ রণিখাই ইউপির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। অনেকেই আবার বলছেন চেয়ারম্যানের নিজের লোকদের দিয়ে ১৮টি গরু সরিয়ে নিয়েছেন।

 

অভিযোগ উঠেছে,

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের বানভাসী মানুষের সাহায্যার্থে চট্রগ্রামের রাউজান এলাকার ফায়াজ করিম চৌধুরী ৬নং রণিখাই ইউনিয়নের বানভাসী অসহায় মানুষের মধ্যে কোরবানি দিয়ে মাংস বিতরণের জন্য ৩৬টি গরু দান করেন। কিন্তু অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ইমাদ গরুগুলো বিতরণ না করে নিজেই আত্মসাত করেন। এই ঘটনা জানতে পেরে স্থানীয় একাধিক লোকজন চেয়ারম্যানের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে চেয়ারম্যান তাদের পুলিশ দিয়ে ভয়-ভীতি এবং গ্রেফতারের হুমকী প্রদান করেন।

৩৬টি গরু আত্মসাতের ঘটনা এবং লোকজনকে ভয়-ভীতি দেখানোর বিষয়ে শনিবার রনিখাই মসজিদ প্রাঙ্গণে ইউনিয়নবাসীর এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সভার সত্যতা স্বীকার করে এলাকার প্রবীণ মুরুব্বী শামস উদ্দিন শাহিন।

 

তিনি জানান,

এই ঘটনায় এলাকায় প্রচণ্ড উত্তেজনা বিরাজ করছিল এবং চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ইমাদ এলাকার কয়েকজনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ছিলেন। তাই পরিস্থিতি শান্ত করার জন্যই সভার আহবান করা হয়। তবে সভায় ভয়-ভীতির বিষয়টি আপোসে নিস্পত্তি করা হলেও গরু আত্মসাতের ঘটনায় পরবর্তী তারিখ আগামী শুক্রবারে সভা আহবান ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই সভায় গরু আত্মসাতের অভিযোগ এবং চেয়ারম্যানের আত্মসাত বিষয়টি খোলাসা করা হবে।

স্থানীয় ইউপি আওয়ামী লীগ নেতা তাজ উদ্দিন জানান, সভায় কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি সমাধানে ইউনিয়নবাসী আন্তরিক ছিলেন।

তিনি বলেন, যেহেতু গরু আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়টি বড় ঘটনা, সেক্ষেত্রে বিস্তারিত সময় নিয়ে আলোচনার জন্য ইউনিয়নের সালিশবৃন্দ আগামী শুক্রবারে পরবর্তী সভা আহবান করেন।

চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ইমাদ জানান,

‘মূলত বিষয়টি আমার অপজিশন পক্ষের সৃষ্টি। তারা রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে আমাকে নিয়ে মিথ্যা রটনা সর্বত্র ছড়িয়ে দিচ্ছে।’ তিনি এ বিষয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানান।

তবে, গরু আত্মসাতের বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পায়নি কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *