সিলেটে বাসা-বাড়ির মালিকদের কর্মকাণ্ডে দিশেহারা ভাড়াটিয়ারা

সিলেট

সম্প্রতি দেশে জ্বালানি তেলের দাম ৪১ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে সরকার। এতে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। সংসার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ। এর প্রভাব পড়েছে সিলেটে।

এমন পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে বাসাভাড়া বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাড়ির মালিকরা। অনেক বাড়ির মালিক এরই মধ্যে ভাড়া বাড়ানোর নোটিশও টানিয়ে দিয়েছেন। সিলেট নগরীর বিভিন্ন জায়গায় এমন চিত্র লক্ষ্য করা যায়।

জানা যায়, সিলেটে যারা ভাড়া বাসায় থাকে তাদের অধিকাংশ মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবার। করোনা মহামারীর পর টানা দু-দফা বন্যায় বিপর্যস্ত সিলেটের জনজীবন। শেষ সময়ে জ্বালানী তেলের দামকে কেন্দ্র করে আরেক দফা বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। এই পরিস্থিতিতে বাসাভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে অমানবিক হিসেবে দেখছেন অনেকেই।

সিলেট নগরীর চারতলা ভবনের একটি ফ্লাটে পরিবার নিয়ে বাস করেন সরকারি চাকরিজীবী কামরান হোসেন। দ্রব্যমূল্যর উর্ধ্বগতিতে নির্ধারিত বেতনে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে এমন পরিস্থিতিতে বাসার মালিক বাসাভাড়া বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। যেখানে পরিবার চালাতেই নাজেহাল অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে যেন ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ বলে মনে করছেন তিনি।

আরেক ভাড়াটিয়া জাহাঙ্গীর কবির। তিনি হবিগঞ্জের বাসিন্দা হলেও চাকুরীর সুবাদে থাকেন সিলেটে। বাসা ভাড়া নিয়ে মালিকদের বিরুপ আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এমনিতেই প্রতি বছর জানুয়ারিতে গড়ে ৫০০ টাকা করে বাসাভাড়া বাড়ান বাড়ির মালিক। এখন শুনছি, তার আগেই বাসাভাড়া বাড়ানো হবে। এ নিয়ে বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়ারাও আতঙ্কে আছেন। দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি ও এমন পরিস্থিতিতে অবিলম্বে বাড়ির মালিকদের এই অপতৎপরতা বন্ধ করতে সরকারকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত ভাড়াটিয়া পরিবার।

তবে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বশীলরা বলছেন বাসা ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের করণীয় কিছু নেই। হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ ও আদায়কালে সিসিক বাসা ভাড়ার হিসেব নিয়ে থাকে। তবে অযৌক্তিকভাবে বাসা ভাড়া বাড়ানো কোন অবস্থাতেই সঠিক সিদ্ধান্ত নয় বলে মনে করছেন সিসিকের দায়িত্বশীলরা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *