চলতি বছরের ২৩ মে থেকে ২৯ জুনের মধ্যে তিন ধাপে সিলেটসহ পাঁচ সিটি করপোরেশনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এসব নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সিটি ভোটে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করতে চায় বর্তমান কমিশন, তবে সে সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বুধবার নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এসব সিদ্ধান্ত জানান।
বেলা ১১টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন সভা হয়। সেখানে অন্যান্য কমিশনাররাসহ ইসি সচিবলেয়ার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনো সিটির মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ৫ বছর। কোনো সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়।
গাজীপুর সিটির পরবর্তী ভোটের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে চলতি মাসের ১১ তারিখ। সেখানে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যদিকে খুলনা ও রাজশাহী সিটির ক্ষণগননা শুরু হবে ১৩ এপ্রিল। ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ১০ অক্টোবরের মধ্যে।
বরিশাল সিটি ভোটের ক্ষণগননা শুরু হবে ১৪ মে থেকে। ভোট গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে।
সিলেট সিটি ৬ মে থেকে পরবর্তী নির্বাচনের ক্ষণগননা শুরু হবে। ৬ নভেম্বরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ময়মনসিংহ সিটি ভোটের ক্ষণগননা শুরু হবে ২০ ডিসেম্বর। ২০২৪ সালের ১৯ জুনের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
পাঁচ সিটি নির্বাচন আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই শুরু করতে হবে জানিয়ে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, ‘গাজীপুর, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, খুলনা এগুলো নির্বাচনের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। এপ্রিল মাস রমজান মাস। পরে ৩০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা চলমান থাকবে। ২৯ জুলাই ঈদুল আজহা।
‘ঈদুল আজহার পূর্বে এসএসসি পরীক্ষার শেষে ৫টি সিটি করপোরেশন নির্বাচন আয়োজন করব সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তফসিল ঘোষণা করব। তখন কোনটা কোন তারিখে তখন বলা যাবে।’
এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় তফসিল ঘোষণা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২৩ মের পরবর্তী সময় থেকে ২৯ জুনের পূর্ববর্তী সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে তিন ধাপে পাঁচ সিটির ভোট করব।’
একটা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন কাস্টমাইজ করতে ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগে বলে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, তিনটি নির্বাচনের মাঝে ১০ থেকে ১২ দিন গ্যাপ থাকবে।
পাঁচ সিটির ভোটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হবে জানিয়ে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা রাখারও সিদ্ধান্ত হয়েছে, তবে তা পরবর্তীতে চূড়ান্ত হবে।’
শেয়ার করুন