সিলেটে মাছের চাহিদা ৭৮ হাজার মেট্রিক টন, রয়েছে ঘাটতি

সিলেট

সিলেট জেলায় মাছের চাহিদার চেয়ে উৎপাদন কম। ফলে মাছের ঘাটতি রয়েছে। মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে এমন তথ্য।

জানা গেছে, ২৩ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত দেশে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন করা হচ্ছে। মৎস্য সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।

মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলায় বছরে মাছের মোট  চাহিদা ৭৮ হাজার ১২০ দশমিক ৩২২ মেট্রিক টন। তবে মাছের উৎপাদন রয়েছে ৭৫ হাজার ৪২৭ দশমিক ৪০২ মেট্রিক টন। অর্থাৎ, মাছের চাহিদার তুলনায় ঘাটতি রয়েছে ২ হাজার ৬৯২ দশমিক ৯২০ মেট্রিক টন।

মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, সিলেটে ছোট-বড় ৫৫টি হাওর, ৩৭টি নদী, বিল-জলমহাল ৬৬৭টি ও ৫ হাজার ৩৪৮টি পুকুর রয়েছে। কিন্তু এসব পুকুরে মাছের চাষ কম। দেশের অন্যান্য জেলায় পুকুরে মাছ চাষের আধিক্য থাকলেও সিলেটে এটা কম। সিলেটে যে মাছ উৎপাদন হয়, এর মাত্র ৩১ শতাংশ আসে পুকুরে চাষকৃত মাছ থেকে। বাকি ৬৯ শতাংশ মাছই আসে হাওর-বাওড় ও অন্যান্য জলাশয় থেকে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিলেটে মাছের উৎপাদন আরও বেশি হতে পারতো। কিন্তু জলাশয় ভরাট করে ফেলা, যততত্র বাঁধ নির্মাণ, হাওর বা পুকুর ভরাট করে ঘরবাড়ি তৈরি, জমিতে কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার প্রভৃতি কারণে মাছের উৎপাদন বাড়ছে না। এ ছাড়া প্রজনন মৌসুমে আইন ভঙ্গ করে পোনা মাছ আহরণের ফলেও মাছ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

মৎস্য কর্মকর্তারা মনে করছেন, এবারের দুই দফায় বন্যায় মাছের খামারিদের যে ক্ষতি হয়েছে, তাতে সামনে অনেকেই মাছ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। যদি তা ঘটে, তবে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।

মৎস্য অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সিলেটের মৎস্য খাতে সামাজিক বিপ্লবের সূচনা করতে হবে। তাতে উৎপাদন বাড়বে।

তিনি বলেন, বন্যায় হাজারো খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, ভেসে গেছে মাছ। সামনে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ কমে যাওয়ার শঙ্কা আছে। এ ছাড়া মাছ চাষে খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *