গানের তালে নাচ কিংবা বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গিতে ভিডিও করে সেগুলোতে ঠোঁট মিলিয়ে আপলোড দিয়ে সবাই মিলে লাইক কমেন্ট করছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া কিশোরী বা তরুণীরা। একইভাবে সিলেট অঞ্চলের কথিত কিছু মডেল টিকটক ও লাইকি ভিডিও করে থাকেন। বিভিন্ন স্থানে শুটিংয়ের ফাঁকে তারা ভিডিও করে পরবর্তীতে এগুলোতে বিভিন্ন গান বা ডায়লগ যুক্ত করে আপলোড দেন। এসব মডেল ও টিকটিকার উঠতি বয়সী তরুণীদের অনেকেই জড়িয়েছেন দেহ ব্যবসায়। তাছাড়া সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে বিভিন্ন উপায়ে ব্লাকমেইলিং করে আদায় করেন মোটা অঙ্কের টাকা। দীর্ঘদিন থেকে এমন সব অনৈতিক কর্মকান্ড চলছে।
সিলেট লাইনের অনুসন্ধানে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সিলেটের রির্সোটগুলোর মধ্যে টিকটক-গ্রুপগুলোর উদ্যোগে বিভিন্ন পার্টির আয়োজন করা হয়। চাইলে আলাদা রুম নিয়েও যা ইচ্ছা তাই করা যাচ্ছে এসব পার্টিতে। পার্টির আড়ালে চলে দেহব্যবসা। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজনকে টার্গেট করে এই তরুণীরা তাদের মায়াজালে আটকে ফাঁদে ফেলছে। তারপর আদায় করছে বড় অঙ্কের টাকা। তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে টাকার বিনিময়ে অশ্লীল কর্মকাণ্ডও ঘটছে।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, সিলেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনা ও লাক্কাতুরা চা বাগান, এয়ারপোর্ট রোডের অভিযাত হোটেলের ও রোড, শাহী ঈদগাহ, বাইশটিলা, শাহ পরান ব্রিজ, নগরীর কাজীরবাজার সেতুসহ নামী-দামী হোটেল-রেস্টুরেন্টেও এসব ভিডিও তৈরি হয়।
সূত্র জানায়, সিলেটে লাইকি ভিডিও তৈরি করে ছেলে-মেয়েরা টাকা আয়ের লোভে বিভিন্ন গ্রুপে এড হয়ে থাকে। এসব গ্রুপে এড হতে গিয়ে আবার গ্রুপ এডমিনদেরকে বিকাশে টাকা দিতে হয়। পরবর্তীতে এসব গ্রুপে সুন্দরী মেয়ে দেখে হোস্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়। যাদের কাজ হচ্ছে ছেলেদের বিভিন্নভাবে আকৃষ্ট করে গ্রুপ বড় করা। তবে কোনো কোনো গ্রুপে ছেলেরা মেয়েদেরকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ছবি-ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবি করে থাকে।
এ ব্যাপারে সিলেটের সিনিয়র নাট্যকর্মী ও সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমদ চৌধুরী মিশু বলেন, লাইকি-টিকটকরা সমাজের জন্য ক্ষতিকর।কিছু উঠতি বয়সী মডেলদের জন্য প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন মূল ধারার সংস্কৃতি কর্মীরা। জরুরী ভিত্তিতে লাইকি-টিকটকারদের প্রতিহিত করতে হবে।সুস্থ ধারার সংস্কৃতি লালন করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
শেয়ার করুন