সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪০নং ওয়ার্ডে তিন মাসের এক কন্যাশিশু নিখোঁজ হয়। এরপর রাত ১১টার দিকে বাড়ির পেছনের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
শিশুটির নাম সাহেরা জান্নাত। সে ৪০নং ওয়ার্ডের পালপুল গ্রামের হাফেজ আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে।
কাইয়ুম জানান, শুক্রবার মাগরিবের নামাজের সময় নিজের ঘর থেকে নিখোঁজ হয় শিশুটি। কয়েক ঘন্টা খোঁজাখুঁজি শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির পেছনের পুকুরে তার লাশ দেখেন বাড়ির লোকজন।
পরে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ এসে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
শিশুটির মৃত্যু নিয়ে গোটা এলাকায় নানা কানাঘুঁষা চলছে। শিশুটি নিখোঁজ ও পরবর্তীতে তার মৃত্যুর পেছনে পরিবারের কোনোনা কোনো সদস্যের যোগসূত্র থাকতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
তবে বিষয়টি নিয়ে আলাপকালে মেয়েটির বাবা হাফেজ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, আমার সাথে কারও কোনো শত্রুতা নেই। এমনকি বাড়ির কোনো লোকজনের সাথেও কোনো বিরোধে নেই। তবু কে বা কারা আমার মেয়েটিকে হত্যা করেছে আমি বুঝতে পারছিনা।
সিলেট প্রতিদিনের সাথে আলাপকালে আব্দুল কাইুম আরও জানান, এ ব্যাপারে এখনই মামলা করতে তিনি আগ্রহী নয়। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পওয়ার পর তিনি মামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন।
এদিকে শিশুটির এক চাচী ও কাইয়ুমের বড় ভাইয়ের স্ত্রী একটি ফেসবুক পেইজের লাইভে বলেছেন, নিখোঁজের সময় শিশুটির পাশে থাকা তার ৫ বছর বয়সী বড়বোন বলেছিলো, মেয়েটিকে বিছানা থেকে তুলে নিয়েছিলেন তারই দাদী।
তবে ওই শিশুর এমন কথাকে কেউ পাত্তা দেননি। দাদী তখন পাশের ঘরে শুয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন তারা।
শেয়ার করুন