স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটে রোববার সকাল থেকেই থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কোথাও কোথাও হালকা ভারি বর্ষণও হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদিনে বৃষ্টিপাত ছিল ১৫ দশমিক ৮ মিলিমিটার। বৃষ্টিতে সবার মধ্যে একটা স্বস্তিভাব দেখা গেছে। তীব্র তাপদাহে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর এদিন খুলেছে। এরআগে দুইদিন হালকা বৃষ্টিপাত হলেও গরমের তীব্রতা কমেনি। কিন্তু রোববার দিনের তাপমাত্রা আগের চেয়ে কমেছে।
শনিবার সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও রোববার তা কমে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল বলে সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
তাপদাহ কমে যাওয়ায় কমেছে মানুষের দুর্ভোগও। দুইদিন থেকে কমেছে লোডশেডিং এর মাত্রা। এতে কমেছে বিভিন্ন ইলেকট্রিক দোকানে চার্জার ফ্যান বিক্রির পরিমাণ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জিন্দাবাজারের এক ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী জানান গরমের অবস্থা দেখে সাধারণ চার্জার ফ্যান স্টকের পাশাপাশি শো-রুম থেকে ব্রান্ডের চার্জর ফ্যান এনে রেখেছিলাম। শো-রুমের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কমপক্ষে ৫শ টাকা বেশিতে তা বিক্রি করা যেত। এখন তা পুরাই লস।
বৃষ্টিতে নগরীর দু একটি রাস্তায় অল্প পানি ও কাদা জমে থাকলেও লোকজনের মধ্যে এ নিয়ে তেমন ভ্রুক্ষেপ দেখা যায়নি। তারা গরম কমেছে এতেই আপাতত খুশি। সবচেয়ে বেশি খুশি দেখা গেছে যাদের ঘরে ছোটো বাচ্চা আছে এমন লোকজনদের। জিন্দাবাজারে ফরিদ প্লাজায় একটি ইলেকট্রিক দোকানের সামনে কথা হয় রওশন আরা নামে এক চাকরিজীবী মায়ের সাথে। তিনি বলেন বৃষ্টি হওয়ায় আমরা খুব খুশি। ঘরে ছোটো বাচ্চা থাকায় এ কয়দিন খুব কষ্ট করেছি। মাসের শুরুতে হাতে টাকা না থাকায় একটা চার্জার ফ্যানও কিনতে পারিনি। দশ তারিখের আজ বেতন পেয়ে ফ্যান কিনতে এসে দেখি বৃষ্টি, গরমও নেই। তাই আর চার্জার ফ্যান না কিনে চলে যাচ্ছি।
এদিকে বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারা জানিয়েছে সারা দেশে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। রোববার সকাল ৯ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আগামী তিনদিন দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশের অবশিষ্টাংশে বিস্তার লাভ করতে এবং বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ু বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ পর্যন্ত এগিয়ে যেতে পারে।
শেয়ার করুন