শেষ হলো সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোটাররা।
এদিন, বৃষ্টির আশঙ্কা থাকলেও সিলেটের সব কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। সকালে নগরীর পাঠানটুলা শাহজালাল জামিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে সস্ত্রীক ভোট দিয়ে জয়ের ব্যপারে আশাবাদের কথা জানান আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানান রিটার্নিং কমকর্তাও। সিলেট নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডে সবগুলো ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়।
এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অপরদিকে, ইভিএমে ভোটগ্রহণের ধীরগতি ভোটারদের কিছুটা ভোগালেও রাজশাহীর বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে দেখা গেছে ভোটারদের দীর্ঘ সারি। যদিও বেলা বাড়ার পর ঝমঝমিয়ে নামা বৃষ্টি বদলে দেয় সে দৃশ্য। দুটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যকার সংঘাত ছাড়া রাজশাহীতে নির্বাচনের পরিবেশ ছিলো শান্তিপূর্ণ।
দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ নগরীর সবগুলো কেন্দ্রে গড়ে প্রায় ২৫ শতাংশ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয় বলে জানা গেছে।
সকাল ৯টার দিকে নগরীর স্যাটেলাইট টাউন হাইস্কুলে ভোট দেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন। ভোট দেয়া শেষে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে, আটকোশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন খায়রুজ্জামান লিটন। ভোট প্রদান শেষে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকার ঘোষণা দেন।
এছাড়া, সকালে কিছু কেন্দ্রে ইভিএমে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়ায় ভোটগ্রহণ শুরু করতে বিলম্ব হয়। এ সময় ভ্যাপসা গরমে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক ভোটার।
শেয়ার করুন