সিলেট জেলা অটোরিকশা কার্যালয়ে সেনাবাহিনীর অভিযান
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৩/০৮/২০২৪ ০৪:৫৮:৫২
সিএনজিচালিত অটোরিকশার সাধারণ চালকদের অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় ‘সিলেট জেলা সি.এন.জি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনয়ন-৭০৭’-এর কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। তবে এসময় কাউকে আটক করা হয়নি। এসময় সেনাবাহিনী সংগঠনটির বিগত দিনের আয়-ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরতে নির্দেশ দেয়।
মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট মহানগরের জিতু মিয়ার পয়েন্টে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছিলো সিলেট পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটসহ কয়েকটি কলেজ-ভার্সিটির শিক্ষার্থী। এসময় কয়েকজন অটোরিকশাচালক তাদের কাছে এসে অভিযোগ করেন- ‘সিলেট জেলা সি.এন.জি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনয়ন-৭০৭’র সভাপতি জাকারিয়া আহমদের নির্দেশে বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করা হয়। অভিযোগটি শুনে শিক্ষার্থীরা সেনাবাহিনীর নির্ধারিত অভিযোগ ফোন নাম্বারে যোগযোগ করেন এবং বিষয়টি তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থী ও চালকদের সঙ্গে নিয়ে সেনাবাহিনী দক্ষিণ সুমার ভার্থখলাস্থ ‘সিলেট জেলা সি.এন.জি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনয়ন-৭০৭’র কার্যালয়ে অভিযান চালায়। কাউকে আটক করা হয়নি। তবে সাধারণ চালকদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিগত দিনের সব আয়-ব্যয়ের হিসাব জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর সঙ্গে অভিযানে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন- সিলেটে অটোরিকশাচালকরা ন্যায্য থেকে বেশি ভাড়া আদায় করে। এর কারণ হচ্ছে- জেলা কমিটি তাদের কাছ থেকে অহেতুক চাঁদা আদায় করে। সেজন্য যাত্রীর কাছ থেকে তারাও বেশি ভাড়া নেন। যদি চাঁদাবাজি না করা হতো তবে তারাও যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া কম নিতেন।
সাধারণ চালকরা বলেন- স্বৈরাচারি দল আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট জেলা সভাপতি জাকারিয়া আহমদ আমাদের নিরীহ শ্রমিকদের উপর জুলুম করছেন। আমাদের কাছ থেকে প্রতিদিন ২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। অথচ শ্রমকিরা কোনো বিপদে পড়লে ১ টাকাও সহায়তা করা হয় না। এছাড়া বছরের পর বছর ধরে এ কমিটিতে নির্বাচন দেওয়া হয় না। নির্বাচনের কথা বললেই সাধারণ চালকদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। আমরা এই জুলুমের অবসান চাই। অচিরেই কমিটি ভেঙে নির্বাচন দিতে হবে এবং আমাদের কাছ চাঁদা আদায় বন্ধ করতে হবে। এছাড়া শ্রমিকের সুবিধা-অসুনিধা কমিটিকে অবশ্যই দেখতে হবে।
এ বিষয়ে ‘সিলেট জেলা সি.এন.জি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনয়ন-৭০৭’র সভাপতি জাকারিয়া আহমদ বলেন- এটি আসলে বড় কিছু বিষয় নয়। কমিটিবিরোধী কিছু চালক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীদের উস্কে দিয়েছে। আর শিক্ষার্থীরা সেনাবাহিনী নিয়ে কার্যালয়ে এসেছে। হিসাব চাওয়ার বিষয়টি সত্য নয়।