সিলেট-ঢাকা পথে নতুন ট্রেনের নাম নিয়ে বিতর্ক

সিলেট

সিলেট থেকে ঢাকা রুটে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন একটি আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হচ্ছে। ওই ট্রেনের নাম ‘টাঙ্গুয়ার এক্সপ্রেস’ নামকরণ করা হয়েছে। ট্রেনের নামকরণ নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। ট্রেনটি সুনামগঞ্জ জেলার কোনো উপজেলায় যাবে না জেনেও ওই এলাকার হাওরের নামে ট্রেনটির নামকরণ করায় সিলেটের নেটিজেনরা হতবাক।

নেটিজেনদের দাবি, নতুন ওই ট্রেনের নামকরণ করতে হবে ‘হাকালুকি এক্সপ্রেস’ নামে। সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার ছয়টি উপজেলা জুড়ে বিস্তৃত হাকালুকি হাওর। সদ্য যুক্ত হওয়া ট্রেনটি মৌলভীবাজার জেলার হাকালুকি হাওরের আওতাধীন কুলাউড়া উপজেলা ও সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা হয়ে সিলেট শহরে যাবে। তাই ওই এলাকার হাকালুকি হাওরের নাম অনুসারে ‘হাকালুকি এক্সপ্রেস’ করার দাবি তাদের।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ঢাকা-সিলেট রুটে সদ্য যুক্ত হতে যাচ্ছে ‘টাঙ্গুয়ার এক্সপ্রেস’। এই ট্রেনের বিশেষত্ব হল ট্রেনটি মাত্র দুইটি স্টেশনে বিরতি নেবে। সিলেট থকে ছেড়ে এসে শ্রীমঙ্গলে এবং ঢাকায় প্রবেশের সময় বিমানবন্দর স্টেশনে থামবে। সব মিলিয়ে সাড়ে ৫ ঘণ্টায় গন্তব্যে পৌঁছাবে ট্রেনটি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসের প্রথম তারিখ হতেই ট্রেনটি সিলেট-ঢাকা রুটে চলাচল শুরু করবে।

একাধিক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, সুনামগঞ্জ জেলার ধারে কাছেও যাবে না যে ট্রেন সেই ট্রেনের নাম দিয়েছেন সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের নামে ‘টাঙ্গুয়ার এক্সপ্রেস’। অথচ ট্রেনটি প্রায় পুরো সিলেট অংশে বৃহত্তর হাকালুকি হাওরের উপর দিয়েই যাতায়াত করবে। সে অনুযায়ী নামকরণটা ‘হাকালুকি এক্সপ্রেস’ হলে মানানসই হতো।

আমিনুল ইসলাম জয়নাল নামে একজন লিখেছেন, নান্দনিকতা ও কাব্যিকতাহীন রূঢ় একটি নাম টাঙ্গুয়ার যা উচ্চারণে শ্রুতিমধুরতার লেশমাত্র নাই। সিলেট-ঢাকা নতুন ট্রেনের নামকরণ করা হলো ‘টাঙ্গুয়ার এক্সপ্রেস’। নতুন এ ট্রেনের নাম ‘হাকালুকি এক্সপ্রেস’ রাখা উচিত ছিল।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হাওর ও এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি হাকালুকি হাওর। সিলেট-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন হাকালুকি হাওরের বুক দিয়ে চলাচল করবে। ট্রেনটি সুনামগঞ্জ জেলার ধারে কাছেও যাবে না। কিন্তু সুনামগঞ্জ জেলার হাওরের নামে ট্রেনের নামকরণ করা হয়েছে। নতুন ট্রেনটির ‘হাকালুকি এক্সপ্রেস’ নামকরণ করা হোক।

তিনি আরও বলেন, এ দাবি শুধু ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলাবাসীর নয়, এ দাবি সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলাবাসীর।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *