সিলেট-তামাবিল সড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিলেন বৃহত্তর জৈন্তিয়াবাসী

সিলেট

সিলেট তামাবিল জাফলং মহাসড়কের দরবস্তে মর্মান্তিক সড়ক দূঘর্টনায় ৫ জন নিহত ও অনেকই আহত হওয়ায় ঘটনায় সিলেটের এক পরিবহন মালিক নেতা কর্তৃক জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল আহমদ সহ স্থানীয় ১৭ পরগনার নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অশ্লীল বক্তব্য দেওয়া ও নিরাপদ সড়ক সহ সিলেট তামাবিল জাফলং সড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধের বিভিন্ন বিষয়ে জৈন্তিয়া ১৭ পরগনা সালিশ সমন্বয় কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১০ জুলাই সোমবার রাতে দরবস্ত বাজার মসজিদ প্রাঙ্গনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন জৈন্তিয়া ১৭পরগনা সালিশ সমন্বয় কমিটির সভাপতি আবু জাফর আবুল মওলা চৌধুরী। বৈঠকে সিলেট-তামাবিল-জাফলং সিলেট, কানাইঘাট,সিলেট-গোয়াইনঘাট সড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ ঘোষনা করা হয় এবং জৈন্তিয়া ১৭ পরগণা-কে কটুক্তিকারী বাস মালিক নেতা ময়নুল ইসলাম-কে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবী জানানো হয়েছে। মালিক সমিতি নিজেই গাড়ি বন্ধ করেছে তাই ক্ষমা চাওয়ার পর পুনরায় বাস চালাতে চাইলে ১৭ পরগনার অনুমতি নিয়েই বাস চালাতে হবে। মঙ্গলবার থেকে বাস-মিনিবাস ব্যতীত সিলেট তামাবিল সড়কে অন্যান্য সকল গাড়ি চলাচল করবে। পরবর্তী সভা আগামী ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার বাদ জোহর জৈন্তাপুরে অনুষ্ঠিত হবে।

গত ৭ জুলাই রাতে জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত  পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২’র সামনে শ্রীখেল এলাকায় বাস ও টমটম মুখোমুখি সংর্ঘষে ৫ জন নিহত হওয়ার  ঘটনায় ৮ জুলাই রাতে দরবস্ত বাজার মসজিদ প্রাঙ্গনে খরিল পরগনার বৈঠকের সিদ্ধান্তে গত ৯ জুলাই এলাকাবাসী দরবস্ত বাজারে যাত্রীবাহী বাস-মিনিবাস চলাচলে অবরোধ করেন। এই অবরোধ’র ঘটনা-কে কেন্দ্র করে সিলেট জেলা বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি ময়নুল ইসলাম রাতে তিনি অনলাইনে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমদ,পুলিশ প্রশাসন সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে হুমকি ও মামলার ভয় দেখিয়ে অশ্লীন বক্তব্য দেন। এই ঘটনায় বৃহত্তর জৈন্তিয়া বাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা জানান।

রাত ১১টায় তাৎক্ষনিক বৈঠকের সিদ্ধান্তে ১০ জুলাই সিলেট তামাবিল সড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ ঘোষনা করা হয়। যার প্রেক্ষিতে দরবস্তে খরিল পরগনার আহবানে জৈন্তিয়া ১৭ পরগনার এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাটের বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন চৌধুরী, গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান  ফারুক আহমদ, কানাইঘাট পৌরসভার মেয়র লুৎফুর রহমান, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন, গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মাওলানা কয়েছ আহমদ, জৈন্তাপুর  উপজেলা বিএনপি’ র সাবেক সভাপতি এনায়েত উল্লাহ, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মুহিবুল হক মুহিব, ইমরান আহমদ সরকারী মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক শাহেদ আহমদ, ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, ইন্তাজ আলী, সুলতান করিম, ফখরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হোসেন চতুলী, আব্দুল মতিন, এবিএম জাকারিয়া, শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হানিফ মোহাম্মদ, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফয়েজ আহমদ, গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনজুর আহমদ, মাস্টার এনায়েত উল্লাহ, মাওলানা কবির আহমদ।

এছাড়া বৈঠকে তিন উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বৈঠকে অংশ গ্রহন করেন। সভায় আগামী ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার বাদ জোহর জৈন্তাপুর উপজেলার ১৭ পরগণার পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেইদিনের বৈঠকে চলমান আন্দোলন সহ বিভিন্ন বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *