পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি বলেছেন, সিলেট পার্সপোট অফিসে কোন ধরণের দুর্নীতি এবং সাধারণ মানুষদের হয়রানি বরদাস্ত করা হবে না।সম্প্রতি সিলেটের স্থানীয়, জাতীয় কয়েকটি প্রিন্ট এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে সিলেট পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতি ও সাধারণ মানুষদের হয়রানি নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যা দেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল-এর কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে চিঠি পাঠিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২আগস্ট) নিউইর্য়ক থেকে পাঠানো চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির খবর গণমাধ্যমে এসেছে । এমতাস্থায় বিষয়টির দ্রুত তদন্ত করা দরকার । তদন্ত চলাকালীন তাকে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রত্যাহার করা যেতে পারে।
এব্যাপরে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিলে আমি কৃতজ্ঞ হবো।প্রসঙ্গত, প্রবাসী অধ্যুসিত সিলেটে পাসপোর্ট তৈরীর হার অন্য জেলা থেকে অনেক বেশি। আর এই সুযোগে সিলেট পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা হয়ে উঠেছেন বেপরোয়া। ঘুষ ছাড়া সহজে কারো পাসপোর্ট হয়না।
টাকা না পেলে আইনী নানা ইস্যু বের করে করা হয় হয়রানি। এর মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যু হচ্ছে পাসপোর্ট গ্রহীতাদের কাবু করার একটি অন্যতম নতুন হাতিয়ার। নতুন হোক বা নবায়ন হোক- আবেদনকারী রোহিঙ্গা শরণার্থী কি-না সেটা প্রমাণ দিতে হচ্ছে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে। এদেশের নাগরিকত্বের অকাট্য প্রমাণ হিসেবে কেউ ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে ব্যবহার করে আসছে বাংলাদেশী পাসপোর্ট কিন্তু নবায়নে এসে তাকে আবারও প্রমাণ করতে হচ্ছে তিনি রোহিঙ্গা নন।
শেয়ার করুন