আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার ১লাখ ১৬ হাজার চারশ’ ২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৪ হাজার ৭০৪ জন। এ বছর ছাত্রের সংখ্যা হচ্ছে ৪৯ হাজার ৪১৮ এবং ছাত্রী ৬৬ হাজার ৯৪৬ জন।
গত বছর পরীক্ষায় ১লাখ ২১হাজার ১৩১জন।এরমধ্যে ছাত্র ৫৩ হাজার ৯৪০ জন এবং ছাত্রী ৬৭ হাজার ১৯১ জন।
এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সারা দেশে প্রায় ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। সিলেটে এ হার ১৪ শতাংশ।
এদিকে, সিলেট বোর্ডের অধীনে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলেদের তুলনায় মেয়ে সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৬৫ জন বেশি।
তন্মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ২৩ হাজার ৩০৩ জন, মানবিকে সর্বাধিক ৮৪ হাজার ২২৯ এবং ব্যবসায় ৮ হাজার ৮৯৫ পরীক্ষার্থী।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল জানান, বোর্ডের অধীনে ৯৩০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৩৫৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হবিগঞ্জে ১৬৭টি, মৌলভীবাজারে ১৮৭টি এবং সুনামগঞ্জে ২১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অংশগ্রহণকারীরা ১৪৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন।
তবে রেজিস্ট্রেশনের তোলনায় ঝরে পড়েছে অনেক শিক্ষার্থী। সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে মাদরাসা বোর্ডে। আর সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সিলেটে ১৪ শতাংশ।
এর আগে গত সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব তথ্য জানান, এবছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর। এবার পরীক্ষা ৩ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ২ ঘণ্টা করা হয়েছে। বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে।
এবার পরীক্ষা হবে ২ ঘণ্টার। এর মধ্যে এমসিকিউ ২০ মিনিট, লিখিত ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। প্রশ্নপত্র ফাঁস এড়াতে পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির মোবাইলে পরীক্ষার সেট কোড পৌঁছে যাবে। তিনি স্মার্ট ফোন নয়, ফিচার ফোন সঙ্গে রাখতে পারবেন। তিনি ছাড়া আর কেউ মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না।
মন্ত্রী বলেন, অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট সময়ের পরে প্রবেশ করতে দিলে তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করে ওইদিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
শেয়ার করুন