সিলেট মহানগরীর রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সিলেট

 

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে একটি ইনসাফভিত্তিক ও কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায়
-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, “বিশ্ব মানবতার ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। মানবতার মুক্তির সনদ মহাগ্রন্থ আল কুরআন ও বিশ্বনবী (সাঃ) এর হাদীস অনুসরণের মধ্যে মানবতার মুক্তি ও কল্যাণ নিহিত। যুগে যুগে প্রমাণিত হয়েছে ইসলাম ছাড়া সামাজিক সুবিচার ও স্বাধীনতা অন্য কিছু দিতে পারবেনা। তাই দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রুকনদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে মানবতার কল্যাণ সাধন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। প্রমাণিত হয়েছে জুলুম-নিপীড়ন, হামলা-মামলা, ফাঁসির রশি আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যপূরণ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি, পারবেও না কোনদিন।”

তিনি বলেন, দ্বীন কায়েমই আমাদের একমাত্র জীবনদ্দেশ্য। তাই আমাদেরকে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত ঈমানের ওপর অবিচল থেকে দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে গতিশীল ও বেগবান করতে হবে। ফ্যাসিস্ট শক্তির পতন ঘটাতে যে স্বপ্ন নিয়ে আমাদের ছাত্র সমাজ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে, সেই বৈষম্যহীন সমাজ ও বেকারত্বহীন দেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।”

৩১ জানুয়ারি জুমুবার সিলেট মহানগরীর বার্ষিক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। বক্তব্য রাখেন, মহানগরী নায়েবে আমীর ড. নুরুল ইসলাম বাবুল, সিলেট জেলা দক্ষিণের সাবেক নায়েবে আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব, জাহেদুর রহমান চৌধুরী ও মাওলানা ইসলাম উদ্দিন প্রমূখ।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে একটি ইনসাফভিত্তিক ও কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে জামায়াতের প্রতি মানুষের আগ্রহ ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই ভালবাসার আলোকে দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সমাজ পরিবর্তনের আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে। পরিবার পরিজনকে ইসলামের আলোকে আদর্শবান সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে দেশ জাতি ও সমাজ উপকৃত হবে।”

তিনি বলেন, “আমাদের উপর সীমাহীন জুলুম নিপীড়ন চালানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আমাদেরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করেই দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে কাজ করছি। তাই আল্লাহ পাক আমাদেরকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে জামায়াতের রুকনদেরকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে। পতিত ফ্যাসিস্টদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দেশপ্রেমিক জনতাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *