২৮ অক্টোবরের লগি-বৈঠার হৃদয় বিদারক নৃশংস
হত্যাকান্ড ইতিহাসে কলঙ্কময় হয়ে থাকবে
——-মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম
সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন- ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর জামায়াতকে ধ্বংস করার জন্য নির্দয়, নিষ্ঠুর ও পাশবিক কায়দায় আওয়ামী সন্ত্রাসী ও তার বাম শরীকরা পরিকল্পিতভাবে যে নরহত্যায় মেতে উঠেছিল তা বিশ^বিবেককে কাদিঁয়েছিল। প্রকাশ্য দিবালোকে লগি, বৈঠা ও মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ দেখে বিশ^ বিবেক স্তব্দ হয়ে যায়। এই বর্বরতা দেখে জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব সহ সারাবিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। অথচ ২৮ অক্টোবরের পৈশাচিকতার বিচার হওয়াতো দূরের কথা, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলাই প্রত্যাহার করে নেয়। দেশে আইনের শাসন ও সুবিচার নিশ্চিত করার স্বার্থে এমন জঘন্য হত্যাকান্ডের বিচার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্থি হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করে দেশকে করদরাজ্যে পরিনত করার হীন উদ্দেশ্যেই দেশব্যাপী লগি-বৈঠার নারকীয় তান্ডব চালানো হয়েছিল। যার সুদুরপ্রসারী ফলাফল জাতি আজ উপলব্দি করতে পারছে। দেশে আইনের শাসন নেই, মানুষের ভোটাধিকার নেই। সর্বত্র দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। খুন, গুম, ধর্ষণ, হামলা-মামলায় নাগরিক জীবনে সীমাহিন দুর্ভোগ নেমে এসেছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে জনজীবন অতিষ্ঠ হলেও সেদিকে ক্ষমতাসীনদের কোন দৃষ্টি নেই।
তিনি বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের লগি-বৈঠার তান্ডবের প্রতিবাদে ও খুনীদের বিচারের দাবীতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। মহানগর সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জামায়াত নেতা মু. আজিজুল ইসলাম, মাওলানা ফয়জুর রহমান, রফিকুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফারুক প্রমূখ।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন-, ভয়াল ২৮ অক্টোবর আ.লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট রাজধানীর পুরান পল্টন সহ সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের উপরে পরিকল্পিত ভাবে তান্ডবলীলা চালায়। তারা প্রকাশ্য দিবালোকে লগি-বৈঠা দিয়ে সাপের মত পিটিয়ে মানুষকে হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করেছে। ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও ক্ষমতাসীন সরকার পল্টন ট্র্যাজেডী’র এই জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করেনি। বরং রাজনৈতিক বিবেচনায় নৃশংস হত্যাকান্ডের মামলা সমুহ প্রত্যাহার করেছে। অথচ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসকে কলংকমুক্ত করতে লগি-বৈঠার তান্ডবের বিচার সময়ের অপরিহার্য দাবী। শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারেনা। যতই ষড়যন্ত্র ও টালাবাহান হোক না কেন? দেশে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনকে নিশ্চিহ্ন করা সাধ্য কারো নেই। সময়ের ব্যবধানে লগি-বৈঠার নারকীয় তান্ডবের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হবেই হবে। ইনশাআল্লাহ।
শেয়ার করুন