ডেস্ক রিপোর্ট : রাজপথে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মিছিলে হাতাহাতিতে জড়ালো সিলেট মহানগর যুবলীগ। যদিও এ ঘটনায় কেউ আহত হননি।
শনিবার দুপুরে নগরের চৌহাট্টা পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনার চিত্র ধারণ করায় সারোয়ার আহমদ নামে এক যুবলীগ নেতা সাংবাদিকদের খারাপ আচরণ ও গালাগাল করে হত্যার হুমকি দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন দুপুরে মিছিল ঢাকা ও নৈরাজ্যর প্রতিবাদে সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তির নেতৃত্বে দর্শন দেউড়ি এলাকা থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলটি চৌহাট্টা পয়েন্টে আসার পর মহানগর যুবলীগের মুশফিক জায়গিরদারের নেতৃত্বে আরো অন্তত ২০টি মোটরসাইকেলে নেতাকর্মীরা এসে আলাদা স্লোগান ধরেন।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। তখন আলম খান মুক্তি গ্রুপের যুবলীগ নেতা অমিত জিৎ ঘটনাটি নিয়ে প্রশ্ন তুললে তাকে হেলমেট দিয়ে মারতে আসেন সাধারণ সম্পাদক বলয়ের সারোয়ার, মঞ্জু, সেবুল আহমদ, সাগরসহ আরো কয়েকজন। এ নিয়ে উভয় গ্রুপ হাতাহাতিতে জড়ালে পরবর্তীতে মহানগর যুবলীগ সভাপতি আলম খান মুক্তি তাদের সরিয়ে নেন। এরপর মিছিলটি নগরের কোর্ট পয়েন্টি পৌছালে সেখানেও নেতাকর্মীর মধ্যে দ্বিতীয় দফা হাতাহাতি হয়।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক মিছিলে থাকা এক যুবলীগ নেতা বলেন, রাজপথে বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মহানগর যুবলীগের মিছিল দুপুর ১২টায় নগরের দর্শনদেউড়ী থেকে বের করার কথা ছিল। কিন্তু সাধারণ সম্পাদকের অপেক্ষায় দেড় ঘণ্টা পর দুপুর দেড়টার দিকে মিছিল কের করা হয়। মিছিলটি নগরের চৌহাট্টা পয়েন্টে পৌঁছালে সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গিরদারের নেতৃত্বে অন্তত ২০টি মোটরসাইকেলে নেতাকর্মীরা এসে আলাদা স্লোগান ধরেন। বিষয়টি নিয়ে মুক্তি গ্রুপের যুবলীগ নেতা প্রশ্ন তুলতে তার দিকে তেড়ে আসেন সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গিরদার। এ সময় তার পক্ষে অমিত জিৎকে হেলমেট দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করেন সারোয়ার, মঞ্জু, সেবুল আহমদ, সাগরসহ আরো কয়েকজন।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের কয়েকজন কলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতির ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণ করেন সাংবাদিকরা। এরপর জেলা যুবলীগ সভাপতি আলম খান মুক্তির মধ্যস্থতায় হাতাহাতির ঘটনা থামলে যৌথভাবে মিছিলটি নগরের কোর্ট পয়েন্টে এসে হাজির হন। এমন সময় ছবি ও ভিডিওচিত্র ধারণ করার কারণে সারোয়ার আহমদ নামে এক যুবলীগ নেতা সাংবাদিকদের প্রাণনাশের হুমকি দেন।
সিলেট মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গিরদার বলেন, রাজপথে বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আমরা মিছিল করেছি। ওইসময় নেতাকর্মীর মধ্যে হাতাতাতির ঘটনা তাৎক্ষণিক নিরসন হয়েছে। সে সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে যুবলীগ নেতা সারোয়ারের খারাপ ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি তাৎক্ষণিক সমাধান করে সাংবাদিকদের খুশি করে দিয়েছি।
শেয়ার করুন