বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের সাথে দ্বিতীয় দিনে সিলেটে হরতাল চলছে। হরতালের কারনে নগরীতে দোকানপাট ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। মহাসড়ক বা কোনো সড়কে চলছে যাত্রীবাহী বাস। সকাল হতে সিলেট থেকে দূরপাল্লার কোনো বাসও ছেড়ে যায়নি। তবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, নিত্যপণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ি সকাল থেকে চলতে শুরু করেছে। বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল থেকে সকাল সাড়ে ১১ পর্যন্ত সিলেট নগরীর এ দৃশ্য।
সিলেটে অবরোধের সাথে যোগ হয়েছে হরতালের ভোগান্তি। গতকাল সিলেটে পুলিশের ধাওয়ায় এক যুবদল নেতা দুর্ঘটনায় পড়ে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আজ সিলেট বিভাগে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে যুবদল। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে হরতালের ডাক দেয় সিলেট জেলা যুবদল।
নগরীর প্রত্যেকটি বাজার বা পয়েন্ট এলাকায় হাতেগুণা কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনিয় দ্রব্য সামগ্রীর দোকান অর্ধেক খোলা রেখে দোকানীদের দেখা গেছে। অপরদিকে সিলেট থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার বাস। আঞ্চলিক সড়কগুলোতেও চলছে না গণপরিহন। নগরীতে হালকা চলাচল করছে রিকশা ও অটোরিকশা। এতে জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া লোকজন পড়েছেন বিপাকে। অনেকেই পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন তাদের গন্তব্যে।
সরেজমিনে নগরীর টিলাগড়, শিবগঞ্জ, মিরাবাজার বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, লামাবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ দেখা গেছে। তবে ওষুধসহ কিছু জরুরি প্রয়োজনীয় দোকান খোলা দেখা গেছে।
এদিকে, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে অবরোধের সাথে দ্বিতীয় দিনে সিলেটে হরতাল চলছে।সকাল হতে সিলেট থেকে দূরপাল্লার কোনো বাসও ছেড়ে যায়নি। তবে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, রিকশা, নিত্যপণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ি হালকা সকাল থেকে চলতে দেখা যায়।
বাস বন্ধ থাকলেও আজ সকাল ৬টায় শিডিউলমতো কালনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
এদিকে, অবরোধের সঙ্গে সিলেটে যোগ হয়েছে হরতালের ভোগান্তি। গতকাল সিলেটে পুলিশের ধাওয়ায় এক যুবদল নেতা দুর্ঘটনায় পড়ে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আজ সিলেট বিভাগে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে যুবদল। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে হরতালের ডাক দেয় সিলেট জেলা যুবদল।