দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। ইতোমধ্যে আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিল ও বাছাইয়ের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে চলছে আপিল-নিস্পত্তি কার্যক্রম। কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পরই প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে।
এদিকে, সিলেট ৩ আসনে মোট ৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও বাছাই শেষে ঠিকে আছেন ৪ প্রার্থী। আপিলে হয়তো আর দুয়েকজন বাড়লে বাড়তেও পারেন।
বাছাইয়ে সিলেট ৩ আসনের ঠিকে থাকা প্রার্থীরা হলেন-আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মনোনিত প্রার্থী শেখ জাহেদুর রহমান মাসুম ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আফরোজ।
তবে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব ছাড়া মাঠে কোন প্রার্থীকে দেখা যাচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক সময়ে জাতীয় পার্টির ঘাটি হিসেবে পরিচিত সিলেট ৩ আসনে এক নাগাড়ে ৩ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আব্দুল মুকিত খান। ২০০১ সালে জাপার প্রার্থীকে হারিয়ে সিলেট-৩ আসন দখলে নেয় বিএনপি। এরপর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি চলে যায় আওয়ামী লীগের ঘরে। এরপর থেকে এই আসন এখন পর্যন্ত দলটির দখলে রয়েছে। জাপা বর্তমানে এখানে অনেকটা নিস্ক্রিয়। বিএনপি নেই নির্বাচনে।
স্থানীয় ভোটারের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সিলেট ৩ নির্বাচনী এলাকায় সাংগঠনিক ভাবে আওয়ামী লীগের অবস্থান অনেকটা মজবুত। গত উপ নির্বাচনে জয় পাওয়া হাবিবুর রহমান হাবিব গত দুই বছরের উন্নয়ন কাজের ফলে এলাকায় বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। নির্বাচনী এলাকায় প্রায় প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে তাঁকে।
অপরদিকে সংসদে প্রধান বিরোধী দলে থাকা জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিককে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আতিকুর রহমান আতিক ঢাকায় বসবাস করেন। মনোনয়ন দাখিল করতে সিলেট এসেছিলেন। মনোনয়ন দাখিল করে ফের ঢাকায় ফিরে যান। সাধারণ ভোটার তো দুরের কথা, তার দলীয় নেতাকর্মীদের সাথেও তিনি সাক্ষাত করেন নি।
ভোটারদের ধারণা সুষ্টু নির্বাচন হলে এবারও সিলেট ৩ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
সিলেট ৩ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২২ হাজার ২৯৩ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৮৬৮ এবং নারী ১ লাখ ৫৯ হাজার ৪২৫ জন।
শেয়ার করুন