সিলেটে যুবলীগ নেতা নাহিদকে হত্যার হুমকি দাতা আব্দুল কাদের মালেককে ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার করেছে শাহপরাণ থানা পুলিশ।
শনিবার বিকেল তিনটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিযে তার সৈদানিবাগ তেররতনস্থ বাসার সামনা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনের ২২ ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও বর্তমান নির্বাচনে একই এলাকার কাউন্সিলর প্রার্থী রেবেকা আক্তার লাকির স্বামী। মালেক সৈয়দানিবাগ উন্মেষ-২৮ ঠিকানার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।
জানা গেছে, আব্দুল কাদের মালেক বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সাথে জড়িত। তিনি ব্রাম্মণবাড়িয়ায় দায়েরকৃত একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলায় (নং ১৮ (৫) ২) দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। দীর্ঘদিন থেকে তিনি পালিয়ে ছিলেন।
ওই মামলায় শনিবার (১৭জুন) তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানার এসআই মোস্তাফিজ।
মালেকের নেতৃত্বে ও ছত্রচ্ছায়ায় সারাবছর সৈয়দানিবাগ তেররতন এলাকায় তার মালিকানাধিন কলোনিতে দীর্ঘদিন থেকে জুয়া ও মাদকের আসর বসে। তারা অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা অসহায় ছিলেন। কেউ প্রতিবাদ করতেন না।
তবে সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন সিটি করপোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের সৈয়দানিবাগ উন্মেষ-২০ ঠিকানার মৃত সৈয়দ মুহিবুর রহমানের ছেলে সৈয়দ নাহিদ রহমান (সাব্বির)।
তিনি মহানগর যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং উন্মেষ সমাজকল্যাণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেটের ব্যবসায়ীদের সংগঠন দি সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সদস্য।
অপকর্মের প্রতিবাদ করায় মালেক ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা নাহিদকে মোবাইলে কল দিয়ে হত্যা ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছিলেন।
এ ব্যপারে তিনি গত ১৯ এপ্রিল শাহপরাণ থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) দায়ের করেন (নং ১০৯৩)।
ডাকাতি মামলা ছাড়াও মালেকের বিরুদ্ধে শাহপরাণ থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনেও মামলা রয়েছে (নং১৬-১৫/০৪/২০২৩)।
এদিকে মালেকের গ্রেফতারের খবরটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে তেররতন সৈদানিবাগ এলাকার জনজীবনে স্বস্তি নেমে আসে বলেও জানিযেছেন স্থানীয়রা।
রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।