সিসিক নির্বাচন: ফল বাতিল ও পুণঃ গণনার দাবিতে আশিকের মামলা

সিলেট

গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)’র ৫ম নির্বাচনে অনিয়ম ও ফল প্রকাশে কারচুপির অভিযোগ করে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আশিক আহমদ মামলা করেছেন।

বুধবার (১৯ জুলাই) তিনি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে এই মামলা দায়ের করেন (ইলেকশন পিটিশন নং-০৫/২৩)। অভিযোগে তিনি ওয়ার্ডের ২টি ভোট কেন্দ্রের নামোল্লেখ করে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর প্রভাবশালী সমর্থকদের যোগসাজশে ফল প্রকাশে কারচুপিসহ নানা অনিয়ম তুলে ধরেছেন।

সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে আশিক আহমদকে মাত্র ২৯০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত দেখানো হয়েছে। উল্লেখ্য, সিসিক-এর ১ম ও ২য় নির্বাচনে ২৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তিনি পর পর দু’বার বিজয়ী হয়েছিলেন।

এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে খোজারখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দু’টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ ও ফলাফল নিয়ে আশিক আহমদ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ৬টি ভোট কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বিধি অনুযায়ী বিকেল ৪টার মধ্যে শেষ হলে সাড়ে ৪টার দিকে খোজারখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দু’টি কেন্দ্র ছাড়া অপর ৪টি কেন্দ্রের ফল প্রকাশ করা হলে দেখা যায়, আশিক আহমদের ঝুড়ি প্রতীক ১,৩৭১ ভোটে এগিয়ে রয়েছে। এর কিছু সময় পরে একই সাথে খোজারখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দু’টি কেন্দ্রের ভোট গণনায় আশিক আহমদের ঝুড়ি প্রতীক ২৯ ভোটে বিজয়ী হয়ে যাচ্ছে দেখে প্রতিপক্ষ তাকবির ইসলাম পিন্টুর সমর্থক প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ প্রিসাইডিং অফিসারের সাথে যোগসাজশ করে ফলাফল পাল্টে দেন।

নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী প্রিসাইডিং অফিসার কম্পিউটার কম্পোজে ছাপানো রিজাল্ট শিটে নির্বাচনী ফলাফল না দিয়ে হাতে লেখা রেজাল্ট শিট হাতে ধরিয়ে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র ছেড়ে চলে যেতে বলেন। যাতে আশিক আহমদের ঝুড়ি প্রতীককে ২৯০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত দেখানো হয়, যা সম্পূর্ণ বানোয়াট।

এজাহারে আরো বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের ভোটগ্রহণ আইন অনুযায়ী ভোট কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিল। কিন্তু তারপরও প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ যোগসাজশের মাধ্যমে প্রিসাইডিং অফিসারকে ‘বশ’ করে নির্বাচনী ফলাফল পাল্টে দেয়। এজাহারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের এই দু’টি কেন্দ্রের ফলাফলের যথাযথ তদন্তসাপেক্ষ ঘোষিত নির্বাচনী ফল বাতিল এবং পুনরায় ভোট গণনার জন্য দাবি জানানো হয়।

নির্বাচনী বিধি মোতাবেক ‘ইলেকশন পিটিশন’ দাখিলের পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল শুনানী সম্পন্ন করে অভিযোগের নিস্পত্তি করার কথা। মামলার বাদি আশিক আহমদের কৌশলী এডভোকেট দেবানন্দ —– বলেন, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৯ আগস্ট মামলার প্রথম শুনানির তারিখ সাব্যস্থ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *