পৃথিবী ক্রমশ এগিয়ে চলছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজেকে চলতে হয়। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে সবকিছু দ্রুতগতিতে এগিয়ে চললেও আয় কিন্তু সেভাবে বাড়ছে না। এখানেই আটকে যেতে হয় আমাদের। ফলে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা হয় না। বিশেষ করে যাদের আয় সীমিত, তারা সবকিছু সামলে উঠতে বেশ হিমশিমে পড়েন।
এ অবস্থায় বাড়তি আয়ের প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে ভালো হয়, পাশাপাশি এমন কিছু কাজ করা যা দীর্ঘ সময় ধরে আপনাকে অর্থ প্রদান করবে। যাকে বলা হয় প্যাসিভ ইনকাম। কিন্তু চাকরি বা অন্য কোথাও সময় দেয়ার কারণে নিজের কাছে অর্থ-সম্পদ থাকার পরও সঠিক বুদ্ধি বা পরিকল্পনার অভাবে কাজে আসে না। এ সময় কৌশলী উপায় অবলম্বন করলে অতিরিক্ত আয় করা সম্ভব। সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী এ ব্যাপারে তাহলে জেনে নেয়া যাক।
সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হওয়া: সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকলে এবং আপনার যদি সময়ের আলোচিত বিষয় নিয়ে কনটেন্ট তৈরির ক্ষমতা থাকে, তাহলে শুরু করতে পারেন। এমন কনটেন্ট তৈরি করতে থাকুন, যা নেটিজেনরা লুফে নেবে। এতে প্ল্যাটফর্ম থেকে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্র্যান্ড থেকে তাদের পণ্য প্রচারের জন্যও আর্থিক প্রস্তাব পাবেন। তবে একজন ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার জন্য আগে থেকেই চেষ্টা থাকতে হয়।
ব্লগ শুরু করা: প্যাসিভ ইনকামের জন্য ব্লগিং হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায়গুলোর মধ্যে অন্যতম। আপনি একবার একটি ব্লগ তৈরি করে প্রচুর ফলোয়ার বানাতে পারলে, এতে বিজ্ঞাপন, স্পনসরড পোস্ট, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা পণ্য বিক্রির মতো নানা পদ্ধতিতে অর্থ আয় করতে পারবেন। আবার এতে একবার একটি কনটেন্ট তৈরি করে প্রকাশ করলে, দীর্ঘদিন পরও তা থেকে অর্থ আসে।
অনলাইন কোর্স তৈরি করা: কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা বা ভালো জ্ঞান থাকলে একটি অনলাইন কোর্স তৈরি করতে পারেন আপনি। হতে পারে আপনার জন্য এটি সেরা প্যাসিভ ইনকাম। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষদের কাছ থেকে অনলাইন কোর্স নিয়ে তা বিক্রি করে। এটি খুবই শক্তিশালী আয়ের উৎস।
সম্পত্তি ভাড়া দেয়া: আপনার কাছে অর্থ থাকলে তা দিয়েও প্যাসিভ আয়ের পথ তৈরি করতে পারেন। একটি সম্পত্তি কিনে সেখানে বাসা-বাড়ি, গ্যারেজ কিংবা অন্য কিছু করে তা ভাড়া দিতে পারেন। এ থেকে দৈনিক বা মাসভিত্তিক অর্থ আসবে আপনার পকেটে। তবে আপনাকে সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ, কর ও বীমার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে।
স্টক ফটোগ্রাফি: অনেকেই আছেন যারা ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করেন। কেউ কেউ আবার প্রবল আগ্রহ থাকার পরও শুরু করতে চেয়েও করছেন না। তারা চাইলে স্টক ফটোগ্রাফি করতে পারেন। শাটারস্টক, অ্যাডোবি স্টক ও আইস্টোক নামে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেখানে আপনি ছবি বিক্রি করতে পারেন। এসব প্ল্যাটফর্ম থেকে ক্রেতারা ভালো দামে ছবি কিনে থাকেন।
শেয়ার করুন