সুনামগঞ্জে এমপিকে নিয়ে কটুক্তি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জ ১ (ধর্মপাশা-জামালগঞ্জ ও তাহিরপুর) আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইকরাম হোসেনকে নিয়ে বিভিন্ন কটুক্তি, মানহানিকর মিথ্যা অপবাদসহ নানা ধরণের অশালীন, কুরুচিপূর্ণ ও বিকৃত ভাষায় গালমন্দ করে ভিডিওচিত্র ধারণ করে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে  মামলা হয়েছে।

উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজ উদ্দিন (৪৩) বাদী হয়ে উপজেলা যুবলীগের উপদপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম  তপন (৪৩)কে প্রধান আসামি করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও উপজেলা শ্রমিক লীগের আটজন নেতাকর্মীকে আসামি করে গত সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে ধর্মপাশা থানায় এই মামলাটি করেছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের দিগজান গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিম তপন নামের এক ব্যক্তি তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে সুনামগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা  মুকুট, ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান  মোজাম্মেল হোসেন রোকন ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকরাম হোসেনকে নিয়ে  বিভিন্ন কটৃুক্তিমূলক, মানহানিকর মিথ্যা অপবাদসহ নানা ধরণের অশালীন, কুরুচিপূর্ণ ও বিকৃত ভাষায় গালমন্দ করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি ছড়িয়ে দেন। এতে করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও জনসাধারণের মধ্যে  অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

গত ১০ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এই ভিড্রি চিত্রটি  উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজউদ্দিনের নজরে আসে। পরে এ নিয়ে তিনি নিজে বাদী হয়ে গত সোমবার রাতে আটজনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। ওইদিন রাতেই অভিযোগটিকে ডিজিটাল মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা যুবলীগের উপদপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম তপন ছাড়াও  এই মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, উপজেলার  সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রাসেল আহমদ, সেলবরষ  ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রব মিয়া, দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান উজ্জ্বল, উপজেলা যুবলীগ নেতা পাবেল চৌধুরী, নূরুল হুদা বাবু, বাদশাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন।

উপজেলা যুবলীগের উপদপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম তপন বলেন, আমি কাউকে নিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বক্তব্য দিইনি। আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক ও আওয়ামী পরিবারের সন্তান। ভিডিওতে যে বিষয়গুলো নিয়ে বক্তব্য দিয়েছি তার সত্যতা রয়েছে। আওয়ামী লীগের সংগঠন  বিরোধী কার্যক্রমে ওই চারজন জড়িত রয়েছেন। ওই চারজন বিগত ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের বিরোধীতা করেছেন। এ অবস্থায়  অনিচ্ছাবশত ক্ষোভ ও রাগে কিছু গাল দিয়েছি, যা ঠিক হয়নি। মামলায় আমাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিরা  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ,  উপজেলা যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মী।

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় সোমবার রাতে আটজনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি নিবিড়ভাবে তদন্ত ও মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্ঠা চলছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *