সুনামগঞ্জে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকিয়েছে এক স্কুলছাত্রী। তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের একটি গ্রামে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (১৬ জুন) ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করে পরিবার। শুক্রবার বাদজুমা বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) কিশোরীর হটলাইনে করা কলটি এক্সটেনশন নম্বর হিসেবে তাহিরপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তৌফিক আহমদের কাছে আসলে তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবগত করেন। পরে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে বিয়ে বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়।
স্কুল ছাত্রী জানায়, তার বিয়ের বয়স হয়নি। কিন্তু পরিবার তার অমতে বিয়ের আয়োজন করে। সে পড়াশোনা করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়। এজন্য হটলাইনে ফোন করে নিজেই নিজের বাল্যবিবাহ বন্ধ করার ব্যবস্থা করে।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের একটি গ্রামের ১৪ বছর বয়সের নবম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করা হয় খলিশাজুড়ি গ্রামের কালাম মিয়ার (২৫) সঙ্গে। বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে পুলিশ ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্য ও বরপক্ষের লোকজনকে বুঝিয়ে বাল্যবিবাহ দেয়া থেকে বিরত করে। এটি পুলিশ সামাজিক দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে করে থাকে।
তিনি ওই শিক্ষার্থীর সাহসী পদক্ষেপ নেয়ার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপের কথা জানানোর পর মেয়ের বিয়ে ভেঙে দেয় পরিবার।
ওই শিক্ষার্থীর এক আত্মীয় জানান, মেয়ের বাল্যবিয়ে দেয়া হলে অভিভাবকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা। পরে কনেপক্ষের লোকজন বাল্যবিবাহ দেয়া থেকে বিরত থাকেন।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তৌফিক আহমেদ জানান, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং থানা পুলিশের সহায়তায় ওই কিশোরীর বিয়ে বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
শেয়ার করুন