সুনামগঞ্জের ‘হিটস্ট্রোকে’ ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃত সকলেই বুধবার মাঠে কাজ করছিলেন। চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, হিটস্ট্রোকে তাদের মৃত্যু হতে পারে। তবে সিলেট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বৃস্পতিবার (১১ মে) কোথাও কোথাও বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়ারাবাজার ও শান্তিগঞ্জে ‘হিটস্ট্রোকে’ এ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, হিটস্ট্রোকে তাদের মৃত্যু হতে পারে। যদিও সুনামগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন দাবি করছেন, হিটস্ট্রোকে মৃত্যুজনিত কোন রেকর্ড তাদের কাছে নেই। অন্যদিকে সিলেট আবহাওয়া অফিস বলছে, বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর সর্ব নিম্ন ছিলো ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রী।
ছাতকের কৈতক ২০ শয্যা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১০ মে) দুপুরে ছাতকের জাউয়া বাজার ইউনিয়নের সাদারাই গ্রামের মৃত শামসুল হকের পুত্র মঞ্জুর আহমদ (৪০) হাওরে ধান কাটার অবস্থায় প্রচন্ড গরমে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একইভাবে ছাতকের সিংচাপইড় ইউনিয়নের সিংচাপইড় গ্রামে তেরাব আলী পুত্র হাসনাত মিয়া (৪৫) ক্ষেতে কাজ করে বাড়িতে এসে প্রচন্ড গরমে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে দোয়ারা বাজার উপজেলার পান্ডার গাঁও ইউনিয়নের জলসি গ্রামের তাজির উদ্দিন (৬৫) হাওরে ক্ষেতের কাজ করছিলেন। হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগা পাশা ইউনিয়নের দরগা পাশা গ্রামের নূর আলমের স্ত্রী রাফিয়া বেগম (৬০) ধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালেই মৃত্যু হয়।
কৈতক ২০ শয্যা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আইনুর নাহার শান্তা বলেন, প্রচন্ড গরমের কারণে হিটস্ট্রোকে তাদের মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পোস্টমর্টেম না হলে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে না
ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজীব চক্রবর্তী ৪ জনের মৃত্যুর বিষয়ে অবগত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
ছাতকের সাউথ ওয়েস্ট সালেহ আহমেদ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাহমুদ আলী জানান, তার স্কুল এন্ড কলেজের ষষ্ঠ, অষ্টম ও একাদশ শ্রেণির তিনজন ছাত্রী প্রচন্ড গরমে ক্লাসের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তাদেরকে দ্রুত কৈতক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সুনামগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শোকদেব সাহা বলেন, সুনামগঞ্জে হিটস্ট্রোকে ৪ জনের কোন রেকর্ড নেই। এজন্য চারজনের মৃত্যু হিট স্ট্রোকে হয়েছে সেটা বলা যাবে না।
সিলেট আবহাওয়া অফিস এর কর্মকর্তা আব্দুল মুয়িদ জানান, বুধবার সিলেটে তাপমাত্রা ছিলো ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
শেয়ার করুন