বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান বলেন, আমরা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সকল মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমাদের সামর্থ কম তবে আমাদের আল্লাহর রহমত অনেক। আল্লাহর রহমতে আমরা এই বিশাল ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো। আমরা সুখী সমৃদ্ধ ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গঠন করতে চাই। যে দেশে মানুষে ন্যায় বিচার পাবে। কারো কিছু পাওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবেনা।
রাষ্ট্রের কর্মচারীরা তাদের পাওনা নাগরিকের ঘরে ঘরে পৌছে দিবে। আমরা মানুষের হক আদায় করতে চাই। আমাদের মঞ্জিল জান্নাত। আর জান্নাতের পথে কারো কোন বাধা আমরা মানবোনা। আল্লাহর মদদ নিয়েই আমরা কাঙ্খিত মঞ্জিলে যেতে চাই। এজন্য আমরা আপনারা ভালবাসা, দোয়া ও সহযোগিতা চাই। ভাই হিসেবে ভাইয়ের পাশে আমরা ছিলাম আছি এবং থাকবো।
তিনি শনিবার দিনভর বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুড়, বালাগঞ্জ ও পৈলনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে ঈদের কুশল বিনিময়, ঈদ উপহার খাদ্য সামগ্রী ও কাপড় বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
আমীরে জামায়াত আরো বলেন, সাম্প্রতিক বন্যার শুরুতে সিলেট নগরীর আশপাশ এলাকা ও সুনামগঞ্জ জেলা প্লাবিত হয়। বন্যার সূচনালগ্ন থেকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় টীম সিলেটের বন্যা দূর্গতমানুষের পাশে সাধ্যমত সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়িয়েছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলে সিলেট জেলার কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত হয়। এসব উপজেলায় বন্যার ক্ষয়ক্ষতিও তুলনামূলক কম হয়েছে। তাই আমি নিজে এবং আমাদের ভাইয়েরা বন্যায় বিপর্যস্ত এলাকাগুলোতে আগে ছুটে গিয়েছি। শেষ দিকে আপনাদের সামনে এসেছি। আমার বিবেক যেখানে সবচাইতে বেশী মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত সেখানেই আল্লাহ তাআলা আমাকে পৌছে দিয়েছেন। সবার শেষে ও দেরিতে আপনাদের সামনে উপস্থিত হওয়ায় আমি ক্ষমাপ্রার্থী। বন্যার পানি কমেছে ঠিকই। তবে বন্যার ক্ষত এখনো রয়ে গেছে। এই ক্ষত কাটিয়ে উঠা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। একমাত্র আল্লাহ পাক রাব্বুল আল আমীন এই বিশাল ক্ষতি কাটিয়ে উঠার তৌফিক দান করবেন। ইনশাআল্লাহ।
বালাগঞ্জ উপজেলা আমীর ডাঃ মোহাম্মদ আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে, জামায়াত নেতা এডভোকেট রহমত আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরী আমীর কাজী দ্বীন মুহাম্মদ, সিলেট জেলা দক্ষিণের আমীর অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, লক্ষীপুর জেলা আমীর মাস্টার রুহুল আমীন, সিলেট জেলা দক্ষিণ নায়েবে আমীর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান আহমদ, নোয়াখালী জেলা সেক্রেটারী নিজাম উদ্দিন ফারুকী, ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলা সেক্রেটারী মোবারক হোসাইন, সিলেট জেলা দক্ষিণেল এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ আল হোসাইন, জেলা দক্ষিণ শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সাত্তার
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগরীর সাবেক সভাপতি মামুন হোসাইন, জামায়াত নেতা জিল্লুল হক চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, মাস্টার আব্দুন নুর, সাংবাদিক আমির আলী, শাহ সানাওর আলী, রিদোয়ানুর রহমান, মতিউর রহমান ও ফজলুল হক প্রমুখ
শেয়ার করুন