সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে না পারার আক্ষেপ হৃদয়ের

খেলাধুলা

প্রথম’ সবকিছুর অনুভূতিই সুন্দর। তবে তাওহীদ হৃদয়ের প্রথম সেঞ্চুরির অনুভূতিটা খুব একটা সুখকর হয়নি। দল হারায় ম্লান তার লড়াকু ১১৮ বলে ১০০ রান। তবে এই নিয়ে তেমন আক্ষেপ নেই হৃদয়ের।

হার দিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু বাংলাদেশের। আসরে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে পাত্তাই পায়নি টাইগাররা। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুবাইয়ে ভারতের কাছে হেরে গেছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে। হারের বড় কারণ ব্যাটিং ব্যর্থতা।

আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৫ রানেই হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। দেখা দেয় নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাবার শঙ্কাও। তবে হৃদয়ের সেঞ্চুরি আর জাকের আলির ৬৮ রানে শেষ পর্যন্ত ২২৮ রান তুলে বাংলাদেশ।

মধ্যমানের এই পুঁজি নিয়ে আবার লড়াই করতে পারেনি টাইগার বোলাররা। ইনিংসের মধ্য দিকে দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে নিলেও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৪৬ দশমিক ৩ ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখেই ভারত নিশ্চিত করে জয়।

এমন হারের পরও আলোচনায় তাওহীদ হৃদয়। ক্রিকেটে সেঞ্চুরি যদিও নতুন কিছু নয়, তবে এমন মুহূর্তে দলের হাল ধরে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছা আর শেষ দিকে চোটের সাথে লড়াই করে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে রান নেয়া, নজর কেড়েছে সবার।

সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে না পারার আক্ষেপ অবশ্য নেই হৃদয়ের, তার আক্ষেপের জায়গা ‘চোট’। অনাকাঙ্ক্ষিত চোটে না পড়লে আর জাকের আলি শেষ পর্যন্ত খেলে আসতে পারলে, ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারতো বলে ধারণা তার।

হৃদয় বলেছেন, ‘আমি আর জাকের চেষ্টা করেছি। আমার ক্র্যাম্পটাই সমস্যা করেছে। ওটা না হলে আরো ২০ থেকে ৩০ রান বেশি করতে পারতাম। রানটা ২৭০ হতো, তাহলে হয়তো ভিন্ন কিছু হতে পারত।’

২৭০ রান হলে ভারতকে হারানো সম্ভব ছিল বলে ধারণা হৃদয়ের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই উইকেটে ব্যাটিং করা অতটা সহজ ছিল না। তারাও ৪৭তম ওভারে গিয়ে জিতেছে। আমাদের ৩০ থেকে ৪০ রান কম হয়েছে।’

অন্যদিকে এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা পোস্ট দিয়েছেন হৃদয়। যেখানে তিনি লিখেন, ‘আন্তর্জাতিক ক‍্যারিয়ারের প্রথম শতক, তবে সবটুকুই বৃথা হয় যখন দল হেরে যায়।’

এরপর হৃদয় আরো লেখেন, ‘শতরানের জন‍্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়ার শেষ নেই, তবে মন খারাপ হয়তো আমি আর একটু ভালো খেললে দলের জন‍্য আরো ভালো হতো। পরের ম‍্যাচে ফিরতে চাই, তার জন‍্য যতো কষ্টই সহ‍্য করতে হোক না কেন।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *