বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক সদস্য নিহত হয়েছে। তা ছাড়া সেনাসদস্যরা অস্ত্র-গোলাবারুদসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সেনাবাহিনী এই অভিযান চালায় বলে সন্ধ্যায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। আইএসপিআর পরিচালকের পক্ষে সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান এই বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানান, রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, রুমায় মসজিদে ও থানচি বাজারে হামলা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুটের ঘটনায় পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফের কর্মকাণ্ড বন্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, র্যাব, আর্মড পুলিশসহ যৌথ বাহিনী।
সূত্র জানায়, সোমবার রুমা উপজেলার মুনলাইপাড়া এলাকায় কেএনএফের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। এ সময় গুলিতে কেএনএফের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলেই গুলিতে কেএনএফের একজন সশস্ত্র সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এখনও তার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানায়, এদিকে সাঁড়াশি অভিযান ও কেএনএফের সশস্ত্র হামলার খবর আসছে, যাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায়। কেএনএফ সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয়দের ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের হামলার গুজব ছড়াচ্ছে। ফলে সরকারি স্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাম্পসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানান, সাঁড়াশি অভিযানে কেএনএফের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েক দফায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে গত কয়েক দিনে। রুমা ইউনিয়ন ও পাইন্দু ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সানাইক্রপাড়া, হ্যাপী হিলপাড়া, বাসতালাংপাড়া, পলিপ্রাংসা এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। তা ছাড়া রাঙামাটির বড়থলি এলাকায়ও গোলাগুলি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
শেয়ার করুন