সেন্টমার্টিনে আজও খাদ্য ও নিত্যপণ্য পাঠানো যায়নি, ফুরিয়ে আসছে মজুদ

জাতীয়

যোগাযোগব্যবস্থা স্বাভাবিক না হওয়ায় সেন্টমার্টিনে পাঠানো যাচ্ছে না খাদ্য ও নিত্যপণ্য। তাতে ফুরিয়ে আসছে এসব পণ্যের মজুদ। ট্রলারে করে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে খাদ্যসহ নিত্যপণ্য নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।

গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে চলাচলকারী কয়েকটি ট্রলারকে লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি ছোড়া হয়। এরপর টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে যোগাযোগে অচলাবস্থা দেখা যায়। এ কারণেই মজুদকৃত খাদ্যদ্রব্যও প্রায় শেষের পথে। এতে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। টেকনাফের সাথে যোগাযোগ একেবারেই বন্ধ। এতে দ্বীপের বাসিন্দারা তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েছে। যে পরিমাণ চাল মজুদ আছে তাতে সর্বোচ্চ দুই থেকে একদিন চলতে পারে। কাচা সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আগেই শেষ হয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে খাদ্য সংকট আরও চরম আকার ধারণ করতে পারে।

এই দ্বীপের দোকানগুলোতে মজুদ করা খাদ্যপণ্য শেষের দিকে হওয়ায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম দ্বিগুণ নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। সৃষ্ট এ সমস্যার দ্রুত সামাধান না হলে দ্বীপবাসীর খাদ্য ও চিকিৎসাসহ অন্যান্য সমস্যা আরও বাড়তে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে চলাচলের জন্য বিকল্প নৌপথ খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. শাহিন ইমরান। সবশেষ গত মঙ্গলবার টেকনাফ থেকে একটি স্পিডবোট দ্বীপটিতে যাওয়ার পথে নাফ নদী পেরিয়ে সাগরের ঘোলচর এলাকায় পৌঁছালে গুলিবর্ষণের শিকার হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *