বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক দুইদিন ছুটি ঘোষণা করে সরকার। তবে দুইদিন ছুটি হওয়ায় সেটি পুষিয়ে নিতে ক্লাসের সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
এখন ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত (মাধ্যমিক) শিক্ষার্থীদের দিনে সাতটি করে ক্লাস করতে হবে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার অর্ধদিবসের পরিবর্তে পূর্ণ দিবস ক্লাস হবে।
বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক আদেশে পরিমার্জিত এই সময়সূচির কথা জানানো হয়েছে। এত দিন অধিকাংশ বিদ্যালয়ে, বিশেষ করে দুই শিফটে চলা বিদ্যালয়ের একেকটি শ্রেণিতে ছয়টি ক্লাস হতো। আর বৃহস্পতিবার আরও কম ক্লাস হতো।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা সরকারি অফিসের সময় এক ঘণ্টা কমানোর পাশাপাশি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন (শুক্র ও শনিবার) করে সরকার।
২২ আগস্ট এই সিদ্ধান্ত হয়। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সময়সূচি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
মাউশি বলছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে দুই দিন ছুটি কার্যকর হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ছয় দিনের শ্রেণি কার্যক্রম সমন্বয় করে পাঁচ দিনের জন্য করে সময়সূচি পরিমার্জন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যাতে শিখন ঘাটতি না হয়, সে জন্য এটি করা হয়েছে। আদেশের সঙ্গে পরিমার্জিত সময়সূচিও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
মাউশির আদেশে বলা হয়েছে, রোববার থেকে বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে প্রতিদিন সাতটি করে সপ্তাহে মোট ৩৫টি ক্লাস (পিরিয়ড) পরিচালিত হবে। এক শিফটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাসের মোট ব্যাপ্তি হবে দিনে ৬ ঘণ্টা ১০ মিনিট। এর মধ্যে সমাবেশের জন্য ১৫ মিনিট এবং বিরতির জন্য ৩০ মিনিটও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
তবে দুই পালায় চলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিনে মোট ব্যাপ্তি হবে ৫ ঘণ্টা ৫ মিনিট। এর মধ্যে ১৫ মিনিট সমাবেশের জন্য এবং ২০ মিনিট বিরতির জন্য থাকবে। এত দিন দুই শিফটে চলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একেক শিফটের কর্মঘণ্টা ছিল ৫ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।
প্রথম শিফট সকাল সাতটায় শুরু হয়ে শেষ হবে ১২টা ৫ মিনিটে। আর দ্বিতীয় শিফট ১২টা ২০ মিনিটে শুরু হয়ে ৫টা ২৫ মিনিটে শেষ হবে।
শেয়ার করুন