সব দুরভিসন্ধি, বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে রাজশাহী ও ঢাকায় অনুষ্ঠেয় গণসমাবেশ সফল করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের স্থান নির্বাচন নিয়ে সরকারের দুরভিসন্ধিমূলক তৎপরতা নিয়ে আলোচনা হয়।

সভায় পূর্বেঘোষিত ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ নয়াপল্টনে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করা হয়। বিএনপি মনে করে— সমাবেশ বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনকে আরও বেগবান করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সভায়, চলমান গণ-আন্দোলকে দমন করার লক্ষ্যে অবৈধ সরকার পুনরায় সাজানো গায়েবি মামলা দিচ্ছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। প্রতিদিন অসংখ্য নেতাকর্মীর বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তল্লাশি ও হয়রানি করছে। এরই মধ্যে প্রায় ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। একদিকে কোথাও বাধা দেওয়া হবে না বলে নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেফতার চালাচ্ছে পুলিশ। সভায় এ ধরনের নিকৃষ্ট দমন নীতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

সভায় অবিলম্বে মিথ্যা ও গায়েরি মামলা বন্ধ করে, মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। গ্রেফতার হওয়া নেতা-কর্মীদের মুক্তির আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় এর সব দায় অবৈধ সরকারকে বহণ করতে হবে।

সভায়, গত একযুগে সীমাহীন দুর্নীতির শিকার দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অধিকাংশ ক্রমশ দুর্বল হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কাগুজে কোম্পানিকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার ঘটনা গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়ায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে, এ অবৈধ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে পরিকল্পিতভাবেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতির মাধ্যমে ধ্বংস করে ফেলেছে। অর্থনীতি চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে।

সভায় সামগ্রিক আর্থিকখাত বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন তৈরি করে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে জনগণের সামনে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।