স্বাভাবিক হয়নি স্কুল, চিন্তায় অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা

জাতীয়

স্কুলগুলো এখনো স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরতে পারেনি। বার্ষিক পরীক্ষা কীভাবে হবে সেটিও ঠিক হয়নি। সেই সঙ্গে আগামী বছর দশম শ্রেণির বিভাগভিত্তিক বিভাজন কীভাবে হবে তা নিয়ে চিন্তায় শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রণয়নের তাগিদ শিক্ষা গবেষকদের।

চলতি বছর থেকে নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে কার্যক্রম চলছে। সেই অনুযায়ী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ নেই। কিন্তু আগের শিক্ষাক্রমে ফেরত গেলে নবম থেকে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণদের বিভাগভিত্তিক বিভাজন কীভাবে হবে, এ নিয়ে চিন্তিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

এক শিক্ষার্থী জানায়, কে কোনটা পাবে বা এখনও কোনটা সিলেবাস এই সম্পর্কে সে কিছুই জানি না।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রথম থেকে ৩য় এবং ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে কার্যক্রম চলছে। এখন আগের শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পরীক্ষা চালু করা হলে সেটি কীভাবে হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা চান শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা।

উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে।’

শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, এখনও স্কুল-কলেজে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসেনি। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতিও হয়েছে। এই অবস্থায় সুনির্দিষ্ট রূপরেখা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ঠিক করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, ‘এই হযবরল অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হলো একটা শিক্ষা কমিশন গঠন করা। এটা মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টার নেতৃত্বে হতে পারে। বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে এ কমিশন গঠন করতে হবে।’

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বলছে, দ্রুতই পরীক্ষাসহ শিক্ষাক্রমের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী বলেন, মূল্যায়ন নিয়ে এক ধরনের একটি বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এ জন্য সুদৃঢ়ভাবে সবাই যাতে বুঝতে পারে সেরকম নির্দেশনা সমস্ত স্কুলে পৌঁছে দেওয়া হবে।

এরই মধ্যে আগামী বছরের জন্য বইয়ের পরিমার্জনের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে এনসিটিবি।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *