স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী গ্রেফতার

জাতীয়

স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ

যশোর জেলার চৌগাছা থানার আসলাম হোসেন (৪৫) কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে গুম করার দায়ে স্ত্রী উম্মে হাবিবা কণা (৩৫)কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা।

উম্মে হাবিবা কণা ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ কবুতর পাড়া এলাকার মৃত কামাল পাশার কন্যা। নিহত আসলামের স্ত্রী উম্মে হাবিবা কণার তৃতীয় স্বামী ছিলো।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত-রাতে যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব-৬,যশোরের একটি চৌকস টীম গ্রেফতার করে।

র‍্যাব সূত্রে জানা যায়,গত ২০২০ সালের ৫ জুলাই ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পোস্তগোলা ব্রীজের নিকটে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে হাসনাবাদ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।উদ্ধারকৃত মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করে মরদেহের পরিচয় সনাক্তের জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক বিভাগ। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে ভিকটিমের (পরিচয়) নাম-ঠিকানা মোঃ আসলাম উদ্দিন (৩৫), পিতা- মৃত নান্নু মিয়া, বর্তমান ঠিকানা- কবুতরপাড়া, থানা- দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা- ঢাকা, স্থায়ী ঠিকানা- থানা- চৌগাছা, জেলা- যশোর বলে জানতে পারেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
উল্লেখিত হত্যাকান্ডের ঘটনায় হাসনাবাদ নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এসআই মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের হওয়ার পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন তথ্য-প্রযুক্তি সহ অন্যান্য মাধ্যমে তদন্ত করে জানতে পারে ভিকটিমের স্ত্রী উম্মে হাবিবা কণা (৩৪) সহ তার ২নং স্বামী ডালিম (৩৮) মিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে আসলাম উদ্দিনকে হত্যা করে। পরে মৃতদেহ গুম করতে বস্তাবন্দি করে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়।পরবর্তীতে দুই নম্বর স্বামী আসামী ডালিম (৩৮) কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। দ্বিতীয় স্বামী ডালিম কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার দাউদকান্দি এলাকার রুপ মিয়ার ছেলে।
যশোর র‌্যাব-৬ এর কোম্পানী কমান্ডার লে: কমান্ডার এম নাজিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কণা হত্যার সাথে তার সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করেছে ।
দীর্ঘদিন ধরে ঘাতক উম্মে হাবিবা কণা একাধিক বিয়ের মাধ্যমে স্বামীদের নিকট থেকে কৌশলে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিলো।
তিনি আরও জানান,আটকের পর তাকে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *