‘স্বৈরাচারের পুনর্বাসন মানে ২৪’র শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা’

জাতীয়

আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা মানে ২৪’র গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন ফ্যসিবাদবিরোধী ঐক্য নামের একটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। জুলাই বিপ্লবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নিরীহ সাধারণ মানুষের উপর হামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের যথাযথ বিচারের দাবি জানান তারা।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। দেশের প্রশাসন থেকে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনে সদ্য সাবেক স্বৈরাচার সরকারের দোসরদের পুনর্বাসন চেষ্টাকারীদের হুঁশিয়ারি করেন তারা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে  ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন হয়েছে। গত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার প্রশাসন থেকে শুরু করে শিক্ষাঙ্গণ পর্যন্ত তাদের লোকজন বসিয়েছে।  ফ্যাসিস্ট সরকার হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা থেকে গেছে। জুলাই বিপ্লবে বিরোধিতাকারী চিহ্নিত আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। সেই অপচেষ্টা রুখে দিতে আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য প্রতিষ্ঠা করছি। জুলাই বিপ্লবে শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ নিরীহ সাধারণ মানুষের উপর হামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের যথাযথ বিচার করতে হবে।

‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের’ যুগ্ম আহ্বায়ক ও ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজীম আহমেদ্ অর্ণব বলেন, আমরা দেখেছি ফ্যাসিবাদ পতনের লক্ষ্যে কীভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল। আন্দোলন চলাকালীন দেখেছি একজন বৃদ্ধা মহিলা ৫ লিটারের পানি বোতলে বহন করে মানুষকে পানি খাওয়াচ্ছে ; তার কোনো স্বার্থ ছিল না। ফ্যাসিবাদের জুলুম থেকে  দেশ ও দেশের মানুষকে মুক্ত  করার জন্য সর্ব মহলের মানুষও  নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে আন্দোলনে শামিল হয়েছিল।

 

তিনি বলেন, আন্দোলনে অনেক শহীদ ভাই বোনদের দেখেছি যাদের বয়স ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসন আমলে অর্ধেক সময়ের সমানও নয়, ফ্যাসিজম পতনে সেইসব নিষ্পাপ ছোট্ট ভাইবোনদের জীবন দিতে হয়েছে। আমরা চাই গত ১৫ বছরে যারা জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন তাদের কণ্ঠস্বরকে একত্রিত করতেই আমাদের এই আয়োজন। সেই সঙ্গে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার ও তার দোসররা গত ১৫ বছরে যত নিরপরাধ মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন  তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *