মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সড়কে প্রতিদিন গড়ে প্রাণ হারাচ্ছে ছয়জন। যাদের অধিকাংশই তরুণ বাইকার। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক পরিসংখ্যান বলছে, গেলো আগস্ট মাসে সড়কে প্রাণ ঝরেছে ৫১৯ জনের। এদের প্রায় ৩৪ শতাংশই এই দুই চাকার আরোহী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ ক্ষমতার মোটরসাইকেলের কারণেই এসব মৃত্যু। দেশে কম সিসি’র মোটরসাইকেলের ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ তাদের।
গতিই জীবন নাকি মরণ! অন্তত মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্য দ্রুতগতি যে মৃত্যুর কাছেই নিয়ে যায় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বেপরোয়া গতিতে দুর্ঘটনা দেশজুড়ে নিত্যদিনের।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, ট্র্যাফিক আইন না মেনে বেপরোয়াভাবে বাইক চালানোর ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। তারা নিজেরাও আক্রান্ত হচ্ছে অন্যদেরকেও আক্রান্ত করছে। এছাড়া, ভারি যানবাহন বাস, ট্রাক, লরি এরাও বেপরোয়া চালিয়ে মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়ার ফলেও দুর্ঘটনা ঘটে।
সড়ক দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উচ্চ ক্ষমতার মোটরসাইকেল বাড়াচ্ছে দুর্ঘটনা। মূলত তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে বাজারে আনা হয় এসব বাইক।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. এম শামসুল হক বলেন, বিজ্ঞাপন দেখলেই বোঝা যায়, এগুলো তরুণ প্রজন্মকে গতি বাড়ানোর জন্য আবেদন তৈরি করছে। বাইক চলাচলে সড়কে আরও মনিটরিং বাড়ানোর ওপরও জোর দেন তিনি।