রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনাদর্শ কুরআনেরই হুবহু প্রতিচ্ছবি
—মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার
বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আগমন পূর্ব যুগ ছিলো বর্বরতা আর নির্মমতায় ভরপুর যুগ। আইয়্যামে জাহেলিয়াহ হিসেবে পরিচিত যুগ। সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ থেকে কুরআনের সুমহান বাণী রাসুলের (সা.) কাছে নাযিল হলো। হেদায়াতের আলোকচ্ছটায় উদ্ভাসিত হলো চরিত্রহীনতার অতল গহীনে হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলো। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদেরকে সোনার মানুষে পরিণত করলেন। রাসুলের (সা.) চরিত্রের ব্যাপারে হযরত আয়েশা (রা.)-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়ে দেন, কুরআনই ছিলো রাসুলের চরিত্র। অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনাদর্শ কুরআনেরই হুবহু প্রতিচ্ছবি। তিনি বলেন, মুসলিম উম্মাহ’র জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনাদর্শকে উসওয়ায়ে হাসানাহ হিসেবে গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। তিনি ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আদর্শের উজ্জ্বল নমুনা রেখে গিয়েছেন। রাষ্ট্রনায়ক, আইনপ্রণেতা, সমাজসংস্কারক ও সেনানায়ক হিসেবেও তিনি সর্বোত্তম জীবনাদর্শ রেখে গিয়েছেন। যা যথাযথভাবে ফলো করলে কিয়ামত পর্যন্ত দুনিয়ায় শান্তি ও স্বস্তি জারি থাকবে, ইনশা আল্লাহ।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে সিরাত মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে হাজী মাহমুদ হোসাইন জামেয়া ইসলামিয়া মাদরাসা ময়দানে আয়োজিত সিরাত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। আলেমেদ্বীন মাওলানা মুখলিসুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মাওলানা রায়হান উদ্দীনের পরিচালনায় বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মাওলানা তাজুল ইসলাম ও মুফতি আবু সাঈদ আল নোমান। উপস্থিত ছিলেন সিরাত মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মাদ্রাসা ইদ্রিস আলী, যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা এমদাদুল হক, সদস্য সচিব মীর সাহেব আলী, ব্যাংকার মিজানুর রহমান, শিক্ষাবিদ জাহিদুল ইসলাম ও মাওলানা আব্দুর রউফ প্রমুখ।
শেয়ার করুন