হবিগঞ্জে এসপির মোবাইল ক্লোন করে টাকা দাবি

হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলির মোবাইল নম্বর ক্লোন করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে টাকা দাবি করছে একটি চক্র।

বিষয়টি জানার পর জনসাধারণকে সতর্ক করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘সতর্কবার্তা’ দিয়েছেন পুলিশ সুপার।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র হবিগঞ্জ জেলার ইউএনও, এসিল্যান্ডসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার চেষ্টা করছে।

শনিবার পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলির মোবাইল নম্বর ক্লোন করে হবিগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গৌতম কুমার রায়কে ফোন করে প্রতারকচক্র।

এসময় চক্রটি পুলিশ সুপারের গাড়িচালক অসুস্থ দাবি করে টাকা চায়। বিষয়টি প্রতারণা বুঝতে পেরে কাউন্সিলর গৌতম কুমার রায় সদর থানায় জানান।

কাউন্সিলর গৌতম কুমার রায় বলেন, প্রতারক চক্রের এক সদস্য এসপি সাহেবের পরিচয় দিয়ে আমাকে ফোন করে। সে জানায় এসপি সাহেবের গাড়ি চালক খুব অসুস্থ। তাই তার চিকিৎসার জন্য কিছু টাকা দিয়ে সহযোগিতা করতে। বিষয়টি আমি সাথে সাথে হবিগঞ্জ সদর থানাকে জানাই।

একই কথা বলে ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর টিপু আহমেদ ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আওয়ালের কাছেও এসপি পরিচয়ে টাকা চায় চক্রটি।

এব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মো. বদিউজ্জামান বলেন, ‘কাউন্সিলর গৌতম কুমার ও কাউন্সিলর টিপুসহ তিনজনের কাছে এসপি স্যারের পরিচয় দিয়ে টাকা দাবি করে। বিষয়টি জানানোর পরই চক্রটিকে শনাক্ত করতে মাঠে নামে পুলিশ। আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদেরকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, আমরা জনসাধারণকে বলবো, এমন কোন ফোনকল গেলে সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানোর জন্য। কোনভাবেই কেউ যেন প্রতারণার ফাঁদে পা না দেয়।

এব্যাপারে পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি বলেন, সম্প্রতি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অফিসিয়াল মোবাইল নম্বর ক্লোন করে ও ভূয়া পরিচয় ব্যবহার করে অর্থসহ বিভিন্ন সাহায্য দাবি করছে। আজ (শনিবার) আমার মোবাইল নম্বর ক্লোন করেও কয়েকজনের কাছে টাকা দাবি করেছে।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলার সম্মানিত নাগরিকদের সতর্ক থাকতে এবং এমন ফোনকল পেলে সংশ্লিষ্ট থানায় জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।

এর আগেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এসিল্যান্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তার মোবাইল নম্বর ক্লোন করে টাকা দাবি করে চক্রটি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *