হবিগঞ্জ শহরে স্বপ্ন সুপার শপে সাবান-পেস্ট চুরির অভিযোগে ৬ বছরের শিশু ও তার মাকে ৪ ঘন্টা বাথরুমে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।একইসাথে ওই নারীর কাছ থেকে ৬২ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ রেখে ওই শিশু ও তার মাকে ছাড়া হয়।ছাড়া পেয়ে ওই নারী রাস্তায় এসে বিষয়টি জানালে স্থানীয়রা হবিগঞ্জ শহরের আরডি হল এলাকায় আরশ বিল্ডিংয়ে স্বপ্ন শপের সামনে বিক্ষোভ করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বপ্নের ম্যানেজার আনিসুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।একইসাথে পুলিশ অভিযোগকারী নারী ও মাদ্রাসাপড়ুয়া শিশুকেও থানায় আনা হয়।
তবে গভীর রাতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার (ওসি) গোলাম মর্তুজার মধ্যস্থতায় আটক করা স্বপ্নের ম্যানেজারকে ছেড়ে দেয়া হয়।এ সময় স্বপ্নের হবিগঞ্জের এজেন্ট মোদারিছ আলী টেনুসহ শহরের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ থানায় উপস্থিত ছিলেন।
ওসি গোলাম মর্তুজা জানান, রোববার (২৬ জুন) দুপুরে এক নারী তার ছয় বছরের মাদ্রাসাপড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন সুপার শপে চাল কিনতে যান। বের হওয়ার সময় ছেলের পকেটে চকলেট, পেস্ট, সাবানসহ কয়েকটি জিনিস পাওয়া যায়। তারপর শপের ম্যানেজার মা ও ছেলেকে কয়েক ঘন্টা বাথরুমে আটক করে তাদের কাছ থেকে ৬২ হাজার টাকা আদায় করেন ম্যানেজার। ছাড়া পেয়ে ওই নারী রাস্তায় এসে কান্নাকাটি করে স্থানীয়দের বিষয়টি জানান।
তারপর স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন।রাতে সদর মডেল থানার পুলিশ গিয়ে ম্যানেজার এবং অভিযোগকারী নারী ও তার ছেলেকে থানায় নিয়ে আসে। থানায় আনার পর ম্যানেজারের কাছ থেকে ৬২ হাজার টাকা উদ্ধার করে নারীকে ফিরিয়ে দিয়ে বিষয়টি শেষ করা হয়।
এদিকে অভিযোগকারী নারী জানান, তার স্বামী বিদেশে থাকেন।তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। ছেলেকে হবিগঞ্জের একটি মাদ্রায়ায় পড়ান।তার ছেলের পকেটে চকলেট, টুথপেস্ট পাওয়ায় স্বপ্ন সুপার শপের ম্যানেজার দুপুর ২টায় তাকে মুখ চেপে ধরে বাথরুমে আটকে রাখেন।এরপর ব্যাংকের মাধ্যমে ৬২ হাজার টাকা আনান ম্যানেজার।পরে তাকে ও তার ছেলেকে ছাড়া হয়। বের হয়ে রাস্তায় এসে কান্নাকাটি করে বিষয়টি লোকজনদের জানালে তারা বিষয়টি পুলিশে জানান।
ওসি গেলাম মর্তুজা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ম্যানেজার তাদেরকে আটক রেখে ৬২ হাজার টাকা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করেন। অভিযোগকারী নারী আইনী ঝামেলায় জড়াতে চাননি।এটি প্রকাশ হলে তারও সম্মামের হানী হবে।তারপর সেই টাকা ম্যানেজারের কাছ থেকে উদ্ধার করে নারীকে ফিরিয়ে দিয়ে বিষয়টি সমঝোতার মাধ্যমে শেষ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ কেন কোন আইনি পদক্ষেপ নেয়নি জিজ্ঞেস করলে ওসি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।
শেয়ার করুন