হিজবুল্লাহ থেকে বউ বাজারের ইতিকথা

জাতীয়

কাজী মোহাম্মদ আলী, অভয়নগরঃ

সময়টা ২০০০ সালে
যশোর জেলার অভয়নগরের শিল্প ও বাণিজ্যিক নগরীর নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী নওয়াপাড়া হিজবুল্লা দাখিল মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী এলাকা হিজবুল্লাহ এলাকা নামেই পরিচিত ছিল।
তখন মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা উপকরণ সহ হালকা খাবার বিক্রির উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠে মাত্র দুটি মুদি দোকান। ২০০৪ সালের পর থেকে পার্শ্ববর্তী জমির মালিকেরা তাদের নিজ জমিতে ও মাদ্রাসা কেন্দ্রিক মসজিদটির জায়গায় মসজিদ কমিটি গড়ে তোলেন ১৫ টির মত দোকান। শুরু হয় জমজমাট একটি বাজার। এক পর্যায়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত সবজি চাষী, মৎস্য চাষীরা বাজারটিতে তাদের উৎপাদিত সবজি, মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে এনে বিক্রি করতে শুরু করে। মাছ বিক্রির কারনে এলাকায় দুর্গন্ধ সৃষ্টি হলে মসজিদ কমিটি মাছ বিক্রির জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান তৈরি করে দেন আর বহিরাগত সবজি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দোকানের সামনে ও শহীদ নজিবর সড়কের পার্শ্ববর্তী স্থানে সবজি বিক্রি শুরু করেন। নব্য গড়ে ওঠা বাজারটি শহর এলাকায় না হওয়ায় এখানকার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নারীরা বাজারের মুল ক্রেতা হয়। নারী ক্রেতার সংখ্যা শতকরা ৮০% হওয়ায় বাজারটি বউ বাজার নামে পরিচিতি লাভ করে। বর্তমান বাজারটিতে অর্ধশত স্থায়ী দোকানসহ শতাধিক অস্থায়ী দোকান বসে। এ বাজারে সার্বিক নিরাপত্তার ও উন্নয়নের জন্য একটি বাজার কমিটিও রয়েছে। বাজারটিকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোও এখন বউ বাজার এলাকা নামে পরিচিত। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ক্রেতা সাধারণরা এ বাজার থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার কেনাবেচা করছে। একটি সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের প্রায় সবটাই পাওয়া যায় এখানে। মুদি,
ইলেকট্রিক সামগ্রী, খাবার হোটেল, কোকারিজ, টেইলার্স, মাংসের দোকান, মুরগির দোকান, সহ এখানে চুল কাটার জন্য রয়েছে সেলুন।
বর্তমানে মানুষের প্রয়োজনীয় অধিকাংশ চাহিদাই মেটাতে সক্ষম বাজারটি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *