১৫ ও ২১ আগস্টের ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা: সৈয়দা জেবুন্নেছা হক

সিলেট

আজ রক্তাক্ত বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন। এই নারকীয় হামলায় দলীয় নেতাকর্মীরা মানববর্ম রচনা করে সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা থেকে রক্ষা করলেও গ্রেনেডের আঘাতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ মোট ২৪ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারান। আহত হন অন্তত তিন শতাধিক নেতাকর্মী।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ শ্রদ্ধাবনতচিত্তে ইতিহাসের ভয়াবহতম গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকী পালন করেছে আজ। দিবসটি উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ আজ সোমবার (২১ আগস্ট) বিকেল ৩টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আশফাক আহমদ, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দুলাল,সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রনজিত সরকার, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাক আহমদ পলাশ, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি এড. সালমা সুলতানা, জেলা যুব লীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দা জেবুন্নেছা হক বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে ২০০৪ সালের আজকের এই দিনে রাজধানী ঢাকার বুকে আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাবেশে চালানো হয় নজিরবিহীন হত্যাযজ্ঞ। গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হিংসার দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করেছিল মানবতাকে। শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় আয়োজিত সমাবেশে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এসে নিজেই সন্ত্রাসের শিকার হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশেই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা। ১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্টের ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা।IMG 20230821 WA0009 - BD Sylhet News

অন্যান্য নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা ছিল পৃথিবীর সকল নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম। তারা গ্রেনেড হামলা করেই থেমে থাকেনি, জননেত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য একই সাথে শেখ হাসিনার গাড়িতে গুলিবর্ষণ করেছিল। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় জননেত্রী শেখ হাসিনা ভয়াল সেই হামলা থেকে রক্ষা পেয়ে যান। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিচারের রায়ে তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি জোট সরকারের মন্ত্রী ও তৎকালীন সরকারের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে অবিলম্বে বিচারের রায় কার্যকর করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদ, এডভোকেট শাহ মোঃ মোসাহিদ আলী, নাজনীন হোসেন, কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম রুহেল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন আহমদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: মোহাম্মদ সাকির আহমদ (শাহীন), উপ-দফতর সম্পাদক মো: মজির উদ্দিন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আখলাকুর রহমান চৌধুরী সেলিম, এম কে শাফি চৌধুরী এলিম, আবু হেনা মোঃ ফিরোজ আলী, আমাতোজ জোহরা রওশন জেবিন, মোঃ জাকির হোসেন,এডভোকেট ফখরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, গোলাপ মিয়া, ডাঃ নাজরা আহমদ চৌধুরী। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ চৌধুরী, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম, জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হেলেন আহমেদ, জেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন কয়েছ, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাকীম দিনা আক্তার, জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন দেব নাথ, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল কান্তি দাস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ প্রমুখ।

এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *